অ্যাকসেস এগ্রিকালচার কমিউনিটি প্রভাব সৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘অ্যারেল গ্লোবাল ফুড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডে ২০২২’ পেয়েছে

অ্যাকসেস এগ্রিকালচার এটা জানাতে পেরে আনন্দিত যে, সংস্থাটি ‘কমিউনিটি এনগেজমেন্ট ইনোভেশন’ বিভাগে ‘অ্যারেল গ্লোবাল ফুড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ অর্জন করেছে।
কানাডার গউয়েলফ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যারেল ফুড ইন্সটিটিউট বিশ্বব্যাপী খাদ্য উদ্ভাবন এবং জনগোষ্ঠীতে প্রভাব সৃষ্টির বিস্তৃতির ক্ষেত্রে অ্যারেল গ্লোবাল ফুড ইনোভেশন অ্যাওয়াড প্রদান করে কাজের স্বীকৃতি দেয়।
কমিউনিটি অ্যওয়ার্ড বিশেষভাবে তাদের স্বীকৃতি দেয়, যারা সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দিয়ে উন্নত পুষ্টি, স্বাস্থ্য এবং / অথবা খাদ্য নিরাপত্তায় অবদান রেখেছেন।
কমিউনিটিতে প্রভাব সৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য অ্যারেল ফুড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হওয়ায় অ্যারেল ফুড ইন্সটিটিউটের পরিচালক ড. ইভান ফ্রেজার অ্যাকসেস এগ্রিকালচারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “অ্যাকসেস এগ্রিকালচার তার কাজের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছেছে এবং বহু দেশে জনগোষ্ঠীতে স্থানীয় খাদ্য ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।”
সুবিধাবঞ্চিত কৃষক জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতা কারা জন্য অ্যাকসেস এগ্রিকালচার উদ্ভাবনী পদ্ধতি, অন-লাইন প্ল্যাটফর্ম টুলস এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেল তৈরি করেছে যাতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মানসম্পন্ন কৃষক-থেকে-কৃষক প্রশিক্ষণ ভিডিও প্রান্তিক মানুষের কাছেও সহজে পৌঁছাতে পারে।
অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ভিডিও প্ল্যাটফর্মে বর্তমানে ৯০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় ভাষায় ২২০টিরও বেশি ভিডিও হোস্ট করা হয়েছে। এগুলো দক্ষিণ গোলার্ধজুড়ে ৯ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছেছে এবং স্বাস্থ্যকর ও আরও স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থায় অবদান রাখছে।
অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের পক্ষ থেকে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণকারী সদস্যরা হলেন:
- জোসেফিন রজার্স, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক
- পল ভ্যান মেলে, সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক, বৈশি^ক উন্নয়ন
- জেন নালুঙ্গা, সম্বয়কারী, গ্রামীণ উদ্যোক্তা কর্মসূচি
অ্যাওয়ার্ড অর্জন প্রসঙ্গে নির্বাহী পরিচালক জোসেফিন রজার্স বলেন, “অ্যাকসেস এগ্রিকালচার দল এবং আমাদের বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের পক্ষ থেকে আমরা অ্যারল গ্লোবাল ফুড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। কৃষকেরা গ্রামীণ এবং শহরের অধিবাসীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, তারা মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ করে। স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং তৃণমূল সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ, আমরা সকলে মিলে দক্ষিণ ভূখ-জুড়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি, যেখানে অনুপ্রেরণাদানকারী কৃষকেরা অন্যদের দেখাতে পারেন, কীভাবে পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চাষাবাদ করতে হয়। স্থানীয় ভাষার এই সম্পদগুলো আজকের এবং আগামীদিনের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ওপর স্থায়ী প্রভাব ফেলবে।”
অ্যাকসেস এগ্রিকালচার আগামী ৭ই জুন ‘খাদ্যের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক অ্যারল ফুড সামিট ২০২২-এ অংশগ্রহণ করবে।
অ্যাকসেস এগ্রিকালচার সম্বন্ধে :
অ্যাকসেস এগ্রিকালচার একটি অলাভজনক সংস্থা, যেটি উচ্চমানের কৃষক-থেকে-কৃষক প্রশিক্ষণ ভিডিও তৈরি ও সরবরাহ করতে জনগোষ্ঠীগুলোর সাথে সরাসরি কাজ করে। ভিডিওগুলো স্থানীয় ছোটো ছোটো জনগোষ্ঠীর কৃষকদের তথ্য ও প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু পেতে সহায়তা করে। অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ভিডিওগুলো স্থানীয় ভাষায় পেতে এবং প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে যেখানে প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং ইন্টারনেট সুবিধা সীমিত, সেখানেও ক্ষুদ্র কৃষকদের কাছে সহজে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। গত এক দশকে ভিডিওগুলো নয় কোটি মানুষের কাছে পৌঁছেছে এবং স্বাস্থ্যকর ও অধিক স্থিতিশীল খাদ্য ব্যবস্থায় অবদান রেখেছে।
অ্যারলে ফুড ইনস্টটিউিট সম্বন্ধে :
অ্যারেল ফুড ইন্সটিটিউটের লক্ষ্য হলো গবেষণা পরিচালনা করার জন্য খাদ্যে নেতৃত্বদানকারী পরবর্তী প্রজন্মকে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং সামাজিক, শিল্পসংক্রান্ত ও সরকারি সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়নের জন্য মানুষকে একত্র করা এবং খাদ্য প্রধান অগ্রাধিকার, এটি সবসময় নিশ্চিত করা। তিনটি মূল বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে অ্যারেল এ কাজটি করে: খাদ্য ও কৃষির রূপান্তর, জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং খাদ্য নেটওয়ার্ক সমৃদ্ধ করা।