রোজারিও ক্যাডিমা একজন উদ্যোক্তা কৃষক, যিনি কোচাবাম্বার কলোমিতে সপ্তাহে দুই দিন আলু কেনাবেচা করেন। জুয়ান আলমানজা রেজারিওকে অ্যাকসেস এগিকালচারের কৃষিশিক্ষার অনেক ভিডিও-সহ একটি ডিভিডি দিয়েছিলেন তাঁর মতো আরও কৃষকদের শেখার জন্য।
ডিভিডিতে মাটির পরিচর্যা বিষয়ে স্প্যানিস, কেচুয়া ও আয়মারা ভাষায় সাতটি ভিডিও ছিল। ভিডিওগুলোর মধ্যে একটি ছিল চিনাবাদাম সম্পর্কিত, যা অন্যান্য দানাদার শষ্য গাছের মতোই মাটিতে নাইট্রোজেনের মাত্রা ঠিক রাখে। রোজারিও সম্প্রতি তাঁর দাদা, বাবা-মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে ডিভিডিটি দেখেছিলেন। তারা টানা তিন রাত জেগে সবগুলো ভিডিও দেখে শেষ করেন এবং তিনি তাদের কথা খুব মনে করেছিলেন।
রোজারিও চিনাবাদামের ভিডিওটির কথা বললে জুয়ান অবাক হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “কিন্তু আপনি তো এখানে চিনাবাদামের চাষ করেন না।”
রোজারিও বলেছিলেন, “না। তবে, আমরা চিনাবাদাম কিনে খাই।” তারপর তিনি ব্যাখ্যা করে বলেছিলেন যে, তিনি এবং তাঁর পরিবার কখনও কখনও চিনাবাদাম কিনে খেয়েছিলেন, যেগুলোর গায়ে চিতি পড়া ছিল। তারা সেই চিতি ফেলে দিয়ে দৃশ্যত পরিষ্কার বাদাম খেয়েছিল।
“আমরাও তাই করেছি”, জুয়ান স্বীকার করেছিলেন।
চিনাবাদামের গায়ের চিতি হলো একধরনের ছত্রাক, এটি চিনাবাদাম ও অন্যান্য সংরক্ষিত খাদ্যসামগ্রীতে অ্যাফলাটক্সিন নামের একপ্রকার বিষ ছেড়ে দেয়। ভিডিওটিতে এইসব দেখিয়েছিল এবং ব্যাখ্যা করেছিল যে, লোকেদের চিতিপড়া খাবার খাওয়ার চেয়ে সেগুলো মাটির নিচে পুঁতে ফেলা ভালো।
রোজারিওর পরিবার এখন সর্তকতার সাথে চিতিপড়া চিনাবাদাম খাওয়া এড়িয়ে চলে। কৃষকেরাও ভোক্তা, একটি ভিডিও তাদের ভালো খাবার পছন্দ করতে সাহায্য করতে পারে। ক্ষুদ্র কৃষকেরা সবসময় যে খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন করে এবং খায় তার সাথে জড়িত জনস্বাস্থ্যের বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার তাদের তেমন একটা সুযোগ থাকে না।
অ্যাকসেস এগ্রিকালচারে হোস্ট করা কৃষক শিখন ভিডিওগুলো, আমরা যা ভেবেছিলাম তার চেয়ে অনেক বেশি বার্তা বহন করে। ভিডিওগুলো এতটাই সমৃদ্ধ যে, দর্শকেরা অজানা বিষয়ে জানতে পারেন। খাওয়া হলো একটি প্রক্রিয়ার শেষ ধাপ, যা সাধারণত বীজ রোপণের মাধ্যমে শুরু হয়। তাই এটা বোঝা যায় যে, কৃষকদের জন্য নির্মিত ভিডিওগুলো ভোক্তাদেরও উপকারে আসতে পারে।
খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত ভিডিও দেখুন
https://www.accessagriculture.org/bgl/category/128/food-safety