ক্ষতি এড়ানোর জন্য সময়মতো ফসল তোলা গুরুত্বপূর্ণ। বেলজিয়ামের একটি এনজিও ‘ইল দ পে’ (শান্তি দ্বীপপুঞ্জ) একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে। সেই প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে বেনিনের কৃষকেরা ভুট্টা এবং বরবটির উন্নত ফসল তোলা এবং ফসল তোলার পরের অনুশীলন ভিডিওগুলো দেখে শেখে। তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।
বেনিনের ‘ইল দ পে’ দলটি ভালো কৃষি অনুশীলনের জন্য তথ্য শেয়ার করতে ফরাসি এবং স্থানীয় ‘ডেন্ডি’ ভাষায় অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের কৃষক-শিখন ভিডিওগুলো তাদের অভীষ্ট কৃষক শ্রেণির প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করে। ২০১৬ সাল থেকে প্রতিবছর নারীকৃষকসহ ৮০জন কৃষক-প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ নেন এবং তারা তাদের সহকর্মীদের শেখানোর জন্য ভিডিওগুলো ব্যবহার করেন।
প্রশিক্ষণ গ্রহণ করায় এখন তারা ভালো ফল পাচ্ছেন। কয়েক জন কৃষক জানান যে, প্রশিক্ষণ নেওয়ার আগে দেরি করে ফসল তোলা এবং সেগুলো খারাপভাবে শুকানো এবং সংরক্ষণের জন্য তাদের ভুট্টার অর্ধেক ফলন নষ্ট হয়ে যেত। তবে, প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর সময়মতো ফসল তোলা, ফসল তোলার পরে যথাযথ ব্যবস্থাপনা এবং সঠিকভাবে সংরক্ষণ করার মতো উন্নত অনুশীলনগুলো রপ্ত করায় তাদের এখন খুব কমই ক্ষতি হচ্ছে বলে জায়িছেন কৃষকেরা।
আগে আমি আমার আধা হেক্টর (১২৩৫.৫ একর) জমি চাষ করে ৮ থেকে ১০ ব্যাগ ভুট্টা পেতাম, এবং সাধারণত ১০ ব্যাগ থেকে তিন ব্যাগ নষ্ট হতো। গত বছর কম্পোস্ট বা জৈবসার ব্যবহার করে আমি ১৪ ব্যাগ ফসল পেয়েছি। ফসল তোলা এবং ফসল তোলার পরের ব্যবস্থাপনার কৌশলগুলো, যেগুলো সুপারিশ করা হয়েছে, সেগুলো অনুসরণ করায় আমার কোনো ফসল নষ্ট হয়নি।” বলেন উত্তর-পশ্চিম বেনিনের বৌকোম্বো কমিউনের কাউকৌয়াতুগু গ্রামের ম্যাথিয়ু ট্যানিটি।
বৌকোম্বো কমিউনের দিপোলি গ্রামের আন্দ্রে ইয়ান্তেকাউয়া আনন্দের সাথে স্মরণ করিয়ে দেন যে, চলতি মৌসুমে তিনি প্রতিব্যাগ ভুট্টা ২৩ ইউরো দরে ১৫ ব্যাগ বক্রি করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, এ থেকে উপার্জিত টাকা কেবল আমার পরিবারের যতœ নিতেই ব্যয় হয়নি পরবর্তী ফসল-মৌসুমের জন্য সরঞ্জামাদি কিনতেও কাজে লেগেছে।” আন্দ্রে আরো ৩৩ জন কৃষককে উন্নত কৌশল-প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
ফেকেরু কমিউনের মাটেরি গ্রামের বোনিফেস নারা ব্যাখ্যা করে বলেন যে, ভালো অভ্যাস প্রয়োগের জন্য ধন্যবাদ। ক্ষেত থেকে ঘরে তোলার সময় আমাদের ফসলের আর ক্ষতি হয় না। ফসল বিক্রি করে আমি একটি বাড়ি তৈরি করতে পেরেছি, এবং অন্যান্য কৃষক, যাদের আমি প্রশিক্ষণ দিয়েছিলাম, তারা গাড়ি টানার উপযুক্ত পশু কিনতে পেরেছে।
অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের অংশীদার বা পার্টনার হয়ে এবং তাদের ভিডিওগুলো ব্যবহার করে ক্ষুদ্র কৃষকদের সাথে তথ্য শেয়ার করার মাধ্যমে ‘ইল দ পে’ কৃষকদের টেকসই কৃষি পদ্ধতি শিখতে সাহায়তা করছে। এমন কি আপনি যদি আমাদের অংশীদার বা পার্টনার নাও হন, তবুও আপনি আমাদের ভিডিওগুলো বিনাখরচে দেখতে, ডাউনলোড করতে এবং অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ভিডিওগুলোতে গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নত করার জন্য অনেক বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
ভিডিওগুলো দেখুন
ফসল তোলা এবং ফসল তোলার পরের ব্যবস্থাপনার বিষয় নিয়ে নির্মিত ভিডিওগুলো ফরাসি ও ‘ডেন্ডি’ ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষায়ও পাওয়া যায়।