অ্যাকসেস এগ্রিকালচার টেকসই কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থার জন্য আন্তর্জাতিক উদ্ভাবনী পুরস্কার অর্জন করেছে

অ্যাকসেস এগ্রিকালচার তার উদ্যোক্তাদের মডেলের ওপর ভিত্তি করে ‘টেকসই খাদ্য ব্যবস্থাপনায় তরুণদের ক্ষমতায়নকারী উদ্ভাবনের জন্য পুরস্কার’ বিভাগে টেকসই খাদ্য ও কৃষি ব্যবস্থার জন্য মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক উদ্ভাবনী পুরস্কার অর্জন করেছে।
জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং সুইজারল্যান্ড সরকারের নেতৃত্বে বিচারকম-লী ২০২১ সালের ১ অক্টোবর ‘ওয়াল্ড ফুড ফোরাম’ ইভেন্টে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে। সর্বমোট ৮৩টি দেশের ৪০০ প্রতিযোগী এতে অংশ নেয়।
বিচারকম-লী তরুণ উদ্যোক্তাদের অ্যাকসেস এগ্রিকালচার মডেলের প্রশংসা করে, যা সৌরশক্তি চালিত স্মার্ট প্রজেক্টর ব্যবহার করে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট সংযোগ বা মোবাইল ফোনের সংকেত ছাড়াই প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীতে পরিবেশগত ও জৈবচাষ এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ভিডিও প্রদর্শন করে।
অ্যাকসেস এগ্রিকালচার পুরস্কারের অর্থ উন্নয়নশীল দেশে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীতে তরুণ উদ্যোক্তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে ব্যবহার করবে।
অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের নির্বাহী পরিচালক, জোসেফেন রজার্স বলেন, আমরা এটিকে অত্যন্ত প্রতিরূপযোগ্য একটি মডেল হিসেবে দেখছি, এবং তা কেবল তরুণদের কর্মসংস্থান এবং ব্যবসায়িক উন্নয়নের জন্যই নয়, বরং কৃষকদের কৃষিবিদ্যার দিকে রূপান্তরিত করার জন্য, তাদের আয় বাড়ানোর জন্য এবং এর মাধ্যমে আরও টেকসই খাদ্যব্যস্থায় অবদান রাখার জন্য।
তিনি আরও বলেন, “অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের জন্য এই পুরস্কার অর্জন সত্যিই অত্যন্ত সম্মানের। এটি আমাদের উৎসাহিত করে এবং বিশ^ব্যাপী প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানোর জন্য আমাদের মধ্যে আস্থা জাগায়। আমাদের ৯০টিরও বেশি ভাষায় কৃষক-থেকে-কৃষক প্রশিক্ষণ ভিডিও-র সমৃদ্ধ লাইব্রেরির মাধ্যমে আমরা দক্ষিণ-দক্ষিণ শিক্ষায় অবদান রাখতে এবং মূলধারার কৃষিবিদ্যায় সহায়তা করতে প্রস্তুত।”
আরও তথ্যের জন্য দেখুন :
সম্পাদকের জন্য নোট :
এফএও এবং সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল সরকার ২০১৮ সাল থেকে টেকসই খাদ্য ও কৃষি ব্যবস্থার জন্য আন্তর্জাতিক উদ্ভাবনী পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে সেরা চর্চাকে জনসম্মুখে স্বীকৃতি দিয়ে উদ্ভাবককে উৎসাহিত করছে। খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনীচর্চা উভয়ই খাদ্য ব্যবস্থার পরিবর্তনে ক্ষমতা রাখে, ক্ষুদ্র চাষিদের উন্নত ভবিষ্যৎ প্রদান করে, কৃষিকাজকে আরও টেকসই করে তোলে এবং শেষ পর্যন্ত উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে ডিজিটাল ব্যবধানের অবসান ঘটায়।