এগ্রোইকোলজি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি

কমিউনিটি রেডিওর একটি কর্মশালায় অ্যাকসেস এগ্রিকালচার থেকে আহমদ সালাহউদ্দিন এবং বিএনএনআরসি থেকে তামান্না রহমান
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার এগ্রোইকোলজি এবং জৈব কৃষি বিষয়ক সমর্থনের অংশ হিসাবে সম্প্রতি অ্যাক্সেস এগ্রিকালচারের সহযগিতায় বাংলাদেশর ঢাকা এবং রংপুরে কৃষিসেবা প্রদানকারী দুটি দলের সাথে দুটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রথমটিতে, বাংলাদেশের কমিউনিটি রেডিও স্টেশনগুলি তাদের প্রোগ্রামগুলিতে ভিডিও সাউন্ডট্র্যাকগুলির ব্যবহার এবং কীভাবে রেডিও কেন্দ্র এবং রেডিও শ্রোতা ক্লাবগুলিতে ভিডিও অন্তর্ভুক্ত করতে পারে সে সম্পর্কে নতুন দক্ষতা অর্জন করেছে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত কর্মশালাটির সময়, কমিউনিটি রেডিওতে কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান সংগঠকগণ বাংলা ভাষায় অ্যাক্সেস এগ্রিকালচার "কৃষক থেকে কৃষক" ভিডিওগুলির ধরণ, এগ্রোইকোলজির গুরুত্ব এবং কৃষকদের কাছ থেকে শেখার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন।
অ্যাক্সেস এগ্রিকালচার ভিডিও দেখার পরে উপকূলীয় বাংলাদেশ থেকে আগত একজন অংশগ্রাহনকারী মেহেদী হাসান বলেছেন: "অতীতে আমরা ভেবেছিলাম কৃষকরা কিছুই জানে না, কেবলমাত্র কৃষি অফিসাররা জানেন, আমাদের অবশ্যই কৃষকদের এবং তাদের ঐতিহ্যগত জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা উচিত।"
অ্যাক্সেস এগ্রিকালচার ও বাংলাদেশ এনজিও নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) এর মধ্যে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিএনএনআরসি সারা দেশের ১৮ টি কমিউনিটি রেডিও স্টেশনগুলির সাথে সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করে। এ প্রসঙ্গে বিএনএনআরসির তামান্না রহমান বলেন এগ্রোইকোলজি আমাদেরকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং মিডিয়ার সাহায্য এখানে অত্যাবশ্যক।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সমাজের মানসিক পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম এবং কমিউনিটি রেডিও স্টেশনগুলির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন । পার্টনার সংস্থাদের মাধ্যমে অ্যাক্সেস এগ্রিকালচার তাদের ভিডিও ভাণ্ডারে ক্রমাগত নতুন নতুন জৈব কৃষি ভিডিও সংযুক্ত করে যাচ্ছে। অ্যাক্সেস এগ্রিকালচার ভিডিও প্ল্যাটফর্মে বর্তমানে ৭০ টিরও বেশি বাংলা ভিডিও রয়েছে, যা কৃষকদের সেবা প্রদানকারী যেকোন সংস্থা বিনামূল্যে ডাউনলোড এবং ব্যবহার করতে পারেন । বাংলা ভিডিওগুলি এখানে পাওয়া যাবে: www.accessagriculture.org/search/all/bgl
রংপুরে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় কর্মশালায়, অ্যাকসেস এগ্রিকালচার বাংলাদেশর উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল থেকে আগত ৩০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়। সকলেই তরুণ উদ্যোক্তা যারা ইউনিয়ন ডিজিটাল কেন্দ্রগুলি (ইউডিসি) পরিচালনা করছেন । একটি ইউনিয়ন ১০ থেকে ৩০ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। ইউডিসিগুলো গ্রামীণ সেবা ডিজিটাল করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের একটি উদ্যোগ। কেনিয়ায় নির্মিত প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কাটুই পোকা দমন ভিডিও দেখার পরে অংশগ্রাহনকারীরা বলেছিলেন যে এই পদ্ধতি পুরোপুরি বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য এবং তারা ফসলের উপকারী পোকাদের সম্পর্কে জানতে পেরে আনন্দিত হয়েছিল।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য সচেতনায় এই সেবা প্রদানকারী গোষ্ঠীগুলো কর্তৃক সমাজের জ্ঞান বৃদ্ধিই হলো আমাদের মূল উদ্দেশ্য ।