উগান্ডার বুইকওয়ে, বুগিরি, সেমবাবুলে, লিরা ও সোরোতিÑ এই পাঁচটি জেলার প্রায় ৩০ জন রুরাল অ্যাডভাইজারি সার্ভিস (আরএএস)-এর সঞ্চালকদের একটি অরিয়েনটেশন কর্মশালায় অংশ নেন। কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় ১৫ এপ্রিল থেকে ১৭ মে ২০২৪ তারিখে। এতে প্রকল্প সম্পাদনের সময় রুরাল অ্যাডভাইজারি সার্ভিস সঞ্চালকেদের ডিজিটাল দক্ষতা বাড়ানোর জন্য অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের সম্পদ ও সরঞ্জামের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
‘গ্লোবাল প্রোগ্রাম ফর স্মল-স্কেল এগ্রোইকোলজি প্রোডিউসার্স অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফুড সিস্টেম ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট’ (জিপি-এসএইপি)-এর অংশ হিসেবে ইন্টারন্যশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট (আইএফএডি) নিবিড় সহযোগিতায় কর্মশালাটির আয়োজন করে গ্লোবাল ফোরাম ফর রুরাল অ্যাডভাইজারি সার্ভিসেস (জিএফআরএএস)। অ্যাকসেস এগ্রিকালচার জ্ঞান ও ক্ষমতার অভিগম্যতা বিষয়ে এই কর্মশালার অংশীদার হিসেবে কাজ করে।
আরএএস সঞ্চালক ছাড়াও মাস্টার প্রশিক্ষক, উগান্ডা ফোরাম ফর এগ্রিকালচার অ্যাডভাইজারি সার্ভিসেস (ইউএফএএএস)-এর প্রতিনিধি, ইউএফএএএস-এর একজন বোর্ড সদস্য, প্রকল্প সমন্বয়ক এবং এম অ্যান্ড ই কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশ নেন। কর্মশালায় অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের প্রতিনিধিদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন যথাক্রমে পূর্ব-আফ্রিকার উদ্যোক্তা প্রশিক্ষক এজরা মাসোলাকি, এবং উগান্ডাভিত্তিক এন্টারপ্রেনর্স ফর রুরাল অ্যাকসেস (ইআরএ’এস)-এর তিন জন উদ্যোক্তাÑ আব্দুল্লাহ সেরিরাজি, অচেন উমর বশির ও ক্যানারি অহাবওয়ে।
এজরা মাসোলাকি বলেন, “এই কর্মশালাটি ইউএফএএএস, আরএএস এবং আফ্রিকান ফোরাম ফর এগ্রিকালচার অ্যাডভাইজারি সার্ভিসেস (এএফএএএস)-সহ আমাদের প্রকল্প অংশীদারদের সাথে নিবিড় সহযোগিতা বাড়ানোর দুর্দান্ত সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।”
এজরা আরও বলেন, “আমরা অংশগ্রহণকারীদের কাছে আমাদের ডিজিটাল সম্পদ ও সরঞ্জামগুলো সম্পর্কে তুলে ধরতে পেরেছি এবং এআরএস সঞ্চালক, অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ভিডিও প্ল্যাটফর্ম, স্থানীয় ভাষার ভিডিও-র ব্যাপ্তী, প্রযুক্তিগত তথ্যপত্র (টেকনিকাল ফ্যাক্টশিট), ভিডিও শেয়ার করার প্ল্যাটফর্ম এবং অ্যাকসেস এগ্রিকালচার অ্যাপে যুক্ত হতে এবং নেভিগেটিংয়ে সহায়তা করতে পেরেছি। সকল আরএএস ও সঞ্চালকবৃন্দ অ্যাকসেস এগ্রিকালচার এবং ইকোএগটিউব (ঊপড়অমঃঁনব) প্ল্যাটফর্মে নিজেদের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
এছাড়াও অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ডেমো ভিডিও প্রশিক্ষণ অধিবেশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর কাছে ভিডিওগুলো চালু করেছে। একটি ডেমো ভিডিও প্রশিক্ষণ চলাকালে একজন নারী কৃষক বলেন, “আমি ৬০ বছর ধরে কৃষিকাজ করছি, কিন্তু ফসলের ছেড়ে আসা অবশিষ্টাংশের মূল্য সম্পর্কে আমি কখনো জানিনি, কারণ, আমরা সেগুলো পুড়িয়ে দিচ্ছি।” তিনি বলেন যে, তিনি ভিডিওতে দেখানো চর্চাগুলো গ্রহণ করবেন।
বুইকওয়ে ও লিরা জেলার উৎপাদন কর্মকর্তাবৃন্দও প্রশিক্ষণ ভিডিওগুলোর ভূযসী প্রশংসা করেন। তাদের মতে ভিডিওগুলো গ্রামীণ এলাকায় সম্প্রসারণের চিত্র বদলে দিতে চলেছে।
অ্যাকসেস এগ্রিকালচার এই প্রকল্পের অধীনে এ বছর স্থানীয় লুসোগা, লুগান্ডা, রুনিয়াকিতারা, ল্যাঙ্গো ও এটেসো ভাষায় অনুবাদ করার জন্য ২০০টি ভিডিও নির্বাচন করার সুযোগ করে দিয়েছে।