আমাদের অ্যম্বাসেডর
অ্যাকসেস এগ্রিকালাচার-এর অ্যম্বাসেডরেরা হলেন স্বেচ্ছাসেবী, যাঁরা তাঁদের নিজের নিজের দেশে অ্যাকসেস এগ্রিকালাচার-এর কাজ করেন।
আন্তর্জাতিক

অনারারি অ্যাম্বাসেডর ফর ল্যাটিন আমেরিকা
জেফ বেন্টলি
অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংস্কৃতিক নৃতাত্ত্বিক বিষয়ে পিএইচডি করেছেন। তিনি হন্ডুরাসের একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এল জামোরানোতে সাত বছর ধরে প্রাকৃতিক কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গবেষণা করেছেন। জেফ ল্যাটিন আমেরিকা, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে কাজ করেছেন। তিনি বলিভিয়ায় বসবাস করেন এবং কৃষকের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং স্থানীয় জ্ঞান দ্বারা মুগ্ধ। জেফ অ্যাক্সেস এগ্রিকালচারের স্ক্রিপ্ট রাইটিং শেখায় এবং ভিডিওগুলি কীভাবে কৃষক এবং অন্যদের সৃজনশীলতাকে প্রসারিত করে সে সম্পর্কে অনেকগুলি গবেষণা পত্র লিখেছেন। জেফ ইংরেজি, স্পেনীয়, পর্তুগিজ, ফরাসি এবং কেচুয়া ভাষায় পারদর্শী, তাই তিনি ভাষার গুরুত্ব স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে পারেন।

অনারারি অ্যাম্বাসেডর ফর এশিয়া
শেখ তানভীর হোসেন
শেখ তানভীর হোসেন জাপানের ‘এহমি বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে কৃষিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি জাপানের টোকিও-তে এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেসন (এপিও0 নামে একটি আন্ত-সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অর্গানিক অ্যাগ্রিকালচারাল মুভমেন্টস (আইএফওএএম) থেকে তিনি ২০১১ সালে ‘অর্গানিক ফার্মিং ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ এবং ২০১৫ সালে ‘হিভোস সোশাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন। তিনি আইএফওএএম-এশিয়ার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে তিনি সাসটেইনেবল অর্গানিক অ্যাগ্রিকালচার অ্যাকশন নেটওয়ার্ক([এসওএএএন)-এর পরামর্শক দলের একজন সদস্য।

অনারারি অ্যাম্বাসেডর ফর আফ্রিকা
ইয়োদিত কেবেদ
নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ল্যান্ডস্কেপ ইকোলজিতে পিএইচডি করেছেন। পিএইচডি গবেষণার আগে, যোদিট ওয়াগেনিনজেনের টেকনিক্যাল সেন্টার ফর এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল কো-অপারেশন (সিটিএ) এবং লুভাইন-লা-নিউউ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দক্ষিণ বেলজিয়ামের মাটি ক্ষয়ের বিষয়ে শুকনো জমির বিষয়ে কাজ করেছিলেন। ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তিনি পশ্চিম আফ্রিকার এগ্রোইকোলজিতে এফএওর পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করেছিলেন। এগ্রোইকোলজির প্রতি তার দৃঢ় আগ্রহের জন্য যোদিট বর্তমানে ফরাসী ন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর সাসটেইনবল ডেভেলপমেন্ট (আইআরডি) -এ পোস্টডক্টোরাল গবেষক হিসাবে আছেন।
আইভরি কোস্ট

আলফনস আমানি কেওইউএএমই
আলফনস আমানি কেওইউএএমই একজন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ এবং কৃষি ভ্যালু চেইন বিষয়ে তাঁর দীর্ঘ ১৭ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই চেইনে তিনি অনেকের সাথে বিশেষত, আমেরিকান, ফরাসি ও সুইস কোকো রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কাজ করেছেন। আলফনস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের কৃষি ভ্যালু চেইন ব্যবস্থাপক হিসেবে উন্নয়ন সহযোগিতায় কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি একটি বেলজিয়ান আন্তর্জাতিক সংস্থায় কান্ট্রি প্রোগ্রাম কো-অডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করার ফলে আলফনসের গ্রামীণ ইস্যুগুলোর বিষয়ে বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে এবং গ্রামীণ সমবায় ও উৎপাদনকারীদের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তিনি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে অ্যাকসেস এগ্রিকালচার শিখন ভিডিওগুলো জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। এর জন্য তিনি জনসমাগম হয় এমন স্থানে ভিডিওগুলো দেখাচ্ছেন এবং মোবাইল ফোন ও ট্যাবলেটে অ্যাকসেস এগ্রিকালচার অ্যাপ্লিকেশনগুলো স্থাপনের ব্যবস্থা করছেন।
উগান্ডা
এজরা মাসোলাকি
এজরা মাসোলাকি উগান্ডার মেকেরের বিশ^বিদ্যালয় থেকে কৃষি ও গ্রামীণ উদ্ভাবনে ¯œাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি ভারতের হায়দ্রাবাদের ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব রুরাল ডেভেলপমেন্ট’ থেকে গ্রামীণ কর্মসংস্থান ব্যবস্থাপনা বিষয়সহ বেশ কয়েকটি কোর্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি ভারতের অ্যামিটি বিশ^বিদ্যালয় থেকে অনলাইনে উদ্যোক্তা (এন্টারপ্রেনরশিপ) বিষয়ে এমবিএ করছেন। এজরা ২০১৮ সালে ট্রি রিসোর্স এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠা করেন। এটি একটি সামাজিক উদ্যোগ। এই উদ্যোগটি ‘ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইন্সটিটিউট প্রোগ্রাম অব ল্যান্ড অ্যাক্সিলারেটর’ থেকে আফ্রিকার ক্ষয়ে যাওয়া ভূমি ও বন পুনুরুদ্ধারকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। বিশ^ কৃষিবনবিদ্যা প্রকল্প ‘এমবেলে কোয়ালিশন অ্যাগনিস্ট পোভার্টি’ এবং ‘ভবিষ্যতের জন্য গাছ’Ñ এই দুটি আন্তর্জাতিক প্রকল্পে কাজ করে এজরা কৃষি সম্প্রসারণে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। অ্যাকসেস এগিকালচার অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তিনি কমিউনিটি কৃষক প্ল্যাটফর্ম এবং সোশাল মিডিয়া কৃষক দলের সাথে ভিডিও শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে গ্রামীণ নারী ও তরুণদের উৎপাদনশীল জ্ঞান আরও প্রসারতি করার সুযোগটি কাজে লাগাতে চান।
খ্রিস্টিন নায়ঙ্গোমা
খ্রিস্টিন নায়ঙ্গোমা’র বিভিন্ন বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন কৃষি ও সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠানে কৃষি কৃষিসম্প্রসারণে চার বছর ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমানে তিনি ‘শিম্পাঞ্জি অভয়ারণ্য এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ট্রাস্টে’ মাঠ সহকারী হিসেবে কাজ করছেন। খ্রিস্টিন কৃষিবিদ্যা এবং জৈবচাষের প্রচারের বিষয়ে অ্যাকসেস এগ্রিকালচারকে সহযোগিতা করার কাজে নিবেদিত প্রাণ। তিনি উগান্ডার কৃষক জনগোষ্ঠীর জন্য উপস্থাপিত উপকরণ তৈরি ও প্রবন্ধ রচনা করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে মানসম্মত কৃষক প্রশিক্ষণ ভিডিও বিতরণে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

গ্রেস মুসিমামি
গ্রেস মুসিমামি ‘মেকারার ইউনিভার্সিটি’ থেকে এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট-এ ব্যাচেলর ডিগ্রি ও সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা করেন। গ্রেস ‘ফারমার্স মিডিয়া নিউজপেপার’-এর সম্পাদক। এটি উগান্ডার একমাত্র কৃষিভিত্তিক সংবাদপত্র। সংবাদপত্রটি উগান্ডার বিভিন্ন বোর্ড-এর প্রতিনিধিত্ব করে থাকে- উগান্ডা ন্যাশনাল ফারমাস ফেডারেশন (ইউএনএফএফই) এবং উগান্ডা ফোরাম ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যাডভাইজারি সার্ভিসেসস (ইউএফএএএস)। এ ছাড়াও তিনি অ্যাগ্রিকালচারাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব উগান্ডা (এজেএইউ) এর প্রেসিডেন্ট এবং ‘নেটওয়ার্ক ফর অ্যাগ্রিকালচারাল জার্নালিস্টস ইন ইস্টার্ন অ্যান্ড সাউদার্ন আফ্রিকা’-এর সেক্রেটারি জেনারেল। কৃষকদের উন্নত ও উদ্ভাবনী কাজসমূহের, যেগুলো তাদের উপার্জন বাড়ায়, প্রসার ঘটাতে তিনি পছন্দ করেন।

শ্যারন আগেন
কোস্টারিকার আর্থ ইউনিভার্সিটি থেকে কৃষি বিজ্ঞানে চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলান্ট্রোপি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক প্রকল্প ব্যবস্থাপনা এবং পরিকল্পনার পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন বিষয়ে সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে অ্যালেগ্রো কফি সংস্থায় ইন্টার্নশিপ করার পরে, তিনি ২০১০ সালে উগান্ডায় ফিরে এসে আগাশা গ্রুপ নামে একটি কৃষিনির্ভর ব্যবসা শুরু করেছিলেন, যা কৃষকদের এবং বাজার, সরবরাহকারী, পার্টনার এবং পরিষেবা সরবরাহকারীদের সাথে সংযুক্ত করতে তথ্য প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। তার সংস্থা ইস্টআফ্রিকার প্রথম কৃষিবিদ ডিরেক্টরি প্রকাশ করেছে। শ্যারন গ্রামীণ সমৃদ্ধির জন্য উপদেষ্টা কমিটির তহবিলের এবং আফ্রিকার যুব কৃষি ব্যবসা নেটওয়ার্ক কমিটির একজন সদস্য ছিলেন। ২০১০ এ আফ্রিকা, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকায় আয়োজিত বিআইডি নেটওয়ার্ক নারী ব্যবসায়ী প্রতিযোগিতার পাঁচ বিজয়ীর মধ্যে একজন । শ্যারন তার সংস্থা দ্বারা বাস্তবায়িত কিছু প্রকল্পে, স্থানীয়ভাবে সংগঠিত কৃষক থেকে খামার পরিদর্শনকালে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অ্যাক্সেস এগ্রিকালচার প্রশিক্ষণের ভিডিওগুলি প্রচার করবে।
সেংগো ব্রায়ান কিগোঙ্গো
উগান্ডা খ্রিস্টিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি-বিজ্ঞান ও উদ্যোক্তা বিষয়ে স্নাতক। তিনি খাদ্য-পদ্ধতি বিশ্লেষক এবং কৃষি সম্প্রসারণ বিষয়ের শিক্ষক। বর্তমানে তিনি মেকেরেরি বিশ^বিদ্যালয়ে কৃষি ও ব্যবহারিক অর্থনীতি-তে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করছেন।
ব্রায়ান প্রকৃতি অন্তঃপ্রাণ এবং তিনি সুখ ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী। তিনি উগান্ডায় কৃষি-রাসায়নিক ও জিএমও [জেনেটিক্যালি মডিফাইড অরগানিজম]-এর ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে চান। অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের প্রচারে তিনি তরুণ ও নারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।

স্যামুয়েল ওমোডিং
স্যামুয়েল ওমোডিং কৃষি অন্তঃপ্রাণ এক ব্যক্তি। তাঁর পরিবারের ব্যয়ভার বহনে কৃষিকাজ তাঁকে খুব সহায়তা করে। অবাধে কৃষিতথ্য শেয়ার করেন এমন একজন পেশাদার কৃষক হওয়ার অপেক্ষায় আছেন স্যামুয়েল। তিনি এমন একজন তরুণ কৃষক, যিনি টেকসই উপায় খুঁজে বের করে কম খরচে ছোটো ছোটো উদ্যোগ পরিচালনা করেন। যেমন, তিনি তাঁর শূয়োরের খামারে আদি অণুজীব (আইএমও) এবং ফসলের কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে প্রচলিত পদ্ধতির ব্যবহার করেন। আর এতে তিনি স্থানীয় কৃষক বিশেষত, তরুণ ও নারীদের সাথে সম্প্রসারণের কাজ করতে পারেন। স্যামুয়েল তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ওয়েবসাইট এবং ইকোএগটিউব থেকে কৃষিতথ্য শেয়ার করার লক্ষ্যে মরিয়া হয়ে কাজ করছেন। স্থানীয় কৃষকগোষ্ঠী, নারীদের সমিতি ও তরুণদের কাজে সহায়তা করার লক্ষ্যে একটি স্মার্ট প্রজেক্টর সংগ্রহ করার জন্য তিন বছরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তিনি।
কঙ্গো ব্রাজাভিল

রেভ ডেস্টিন বিকাউতা লৌমৌমৌ
রেভ ডেস্টিন বিকাউতা লৌমৌমৌ ব্রাজাভিলের অধিবাসী এবং তিনি একজন প্রশিক্ষিত সাংবাদিক। বর্তমানে তিনি ব্রাজাভিলের প্রধান ধর্মযাজকের এলাকায় যোগাযোগ পরিসেবার সাথে যুক্ত আছেন এবং রেডিও ম্যাগনিফিকেটে অনুষ্ঠান উপস্থাপক ও প্রতিবেদকের দায়িত্ব পালন করছেন। বিশপের এলাকার জন্য ইউটিউব চ্যানেলের অ্যানিমেশন (চিত্রায়ণ, সম্পাদনা, ভয়েস ওভার)-এর দায়িত্বও বিকাউতা’র ওপর ন্যস্ত। প্রায় ১০ বছর ধরে বিকাউতা জৈবকৃষিকাজ ও প্রাণিসম্পদ প্রজননের বিষয়ে আগ্রহী, যা তিনি তাঁর সাংবাদিকতার বাইরে করে থাকেন। অ্যাকসেস এগ্রিকালচার অ্যাম্বাসেডর হওয়ার সুবাদে বিকাউতা অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ও এগটিউব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অন্য দেশের এগ্রোইকোলজি, কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও আরও অনেক বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করে উপকার পেতে তাঁর জনগোষ্ঠীর তরুণ ও নারীদের উৎসাহিত করতে পারেন।
ক্যামেরুন

ভয়ে বাইনা মোডেস্তে
একজন এগ্রো-জোটটেকনিশিয়ান, এবং ইন্টিগ্রেটেড রুরাল ডেভলপমেন্ট বিষয়ে মাস্টার্স সহ একজন পিএইচডি শিক্ষার্থী। তিনি যুব এগ্রোপেস্টোরাল এন্টারপ্রেনারশিপ প্রমোশন প্রোগ্রাম (পিইএ-জিউনেস) এর একজন ব্যবসায়িক উপদেষ্টা। এই পিইএ-জিউনেস প্রোগ্রামে, তিনি সদ্য তরুণ উদ্যোক্তাদের কৃষিকাজে তাদের ব্যবসায়ের উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে সহায়তা করেন। এই কর্মসূচিতে বর্তমান পাঁচ হাজার তরুণ উদ্যোক্তা রয়েছে এবং এই সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। তিনি গ্রামীণ বিকাশে বিভিন্ন কাঠামোর বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন: কৃষি-পশুপালীয় উদ্যোক্তা, কৃষি-গৃহপালিত খামার ক্রিয়াকলাপকে সহায়তা এবং পরামর্শ প্রদান এবং সামাজিক কার্যক্রম যুক্ত রয়েছেন।
একজন অ্যাম্বাসেডর হিসাবে তিনি কৃষিক্ষেত্রে তার প্রফেশনাল নেটওয়ার্কগুলিতে (যেমনঃ ফ্যাসা এলুমনি) অ্যাক্সেস এগ্রিকালচারের কার্যক্রম প্রচার করতে চান।
কেনিয়া

ডেভিড এনদেরিতু
কেনিয়ায় ইমারিশা নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্ররিচালক। তিনি অর্থনীতি ও সমাজতত্ত্ব বিষয়ে স্নাতক এবং জনসংখ্যা অধ্যয়ন [পপুলেশন স্টাডিজ] বিষয়ে স্নাতকোত্তর। দক্ষতা তৈরির কার্যক্রম পরিচালনা, পলিসি অ্যাডভোকেসি [গণমাধ্যমসহ] সিভিল সোসাইটির নানা সংগঠন এবং দেশের সরকারের সাথে নানা পর্যায়ে ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁর কাজ করার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি টেকসই কৃষির প্রচারে প্রাণান্ত। বিশেষত, জৈবচাষ বিষয়ে, জৈব কৃষিকাজ ভ্যালু চেইনে ক্ষুদ্র কৃষকদের নিয়োগ করা এবং এই খাতের অন্যদের সাথে অংশীদারিত্ব জোরদার করার ব্যাপারে তাঁর ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।

উইনো মাইকেল ওমনডি
উইনো মাইকেল ওমনডি কেনিয়ার কিবাবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অর্থনীতি ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি একজন স্বেচ্ছাসেবী কৃষি-ব্যবসা-শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। এর আগে তিনি লেক বেসিন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির উদ্যোগে কমিউনিটি উন্নয়ন প্রকল্পে শিক্ষানবিশ গবেষক ছিলেন। মাইকেল কৃষি ব্যবসা বিষয়ে গবেষণাপত্র, প্রকল্প প্রস্তাবনা ও প্রকল্প প্রতিবেদন লেখেন। একজন অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তিনি নিবন্ধ লিখে কর্মসূচির প্রচার করতে আগ্রহী। জৈবচাষ সম্পর্কে জনগোষ্ঠীকে সচেতন করতে কাজ করেন ; চাষাবাদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরির লক্ষ্যে স্কুল ও কৃষক-প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন ; জৈব-কৃষির জ্ঞান লাভ ও ইতিবাচক পরিবর্তনে আগ্রহী করতে অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ভিডিও ও অ্যাপসের প্রচার করেন।

জোয়াকিম ওন্ডিজ
জোয়াকিম ওন্ডিজ কেনিয়ার এগারটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি-শিক্ষা ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন। স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর থেকে জোয়াকিম জৈবচাষাবাদ এবং স্কুলের ছাত্রদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে নিবেদিত। জোয়াকিম কৃষকদের চাষাবাদের চ্যালেঞ্জগুলো এবং খাদ্য উৎপাদন ও খামারের কাজে কৃত্রিম পণ্য ব্যবহারের নেতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে বুঝতে পারেন। তিনি সিগোমরে অর্গানিক এগ্রিকালচার প্রোগ্রাম (এসওএপি) নামে জনগোষ্ঠীভিত্তিক একটি সংস্থার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সংস্থাটি কৃষকদের জৈবচাষের প্রশিক্ষণ দেয় এবং তাদের জৈবচাষ যে স্বাস্থ্যকর ও টেকসই তা বুঝতে শেখায়। জোয়াকিম ইতোমধ্যে যে-সকল কৃষকদের সাথে কাজ করেছেন, এবং নতুন যারা তার এসওএপি-তে যুক্ত হচ্ছেন তাদের সবার সাথে তথ্যের বিনিময় করে অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের কাজের প্রচার করতে দারুণ আগ্রহী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্লাটফর্ম ব্যবহার করে যারা কৃষিকাজে আগ্রহী এমন নারী ও তরুণদের কাছেও তিনি অ্যাকসেস এগিকালচারের তথ্য পৌঁছে দিতে চান।

মাইকেল ওনিয়াঙ্গো
মাইকেল ওনিয়াঙ্গো এগারটন বিশ^বিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রিসহ কৃষি অর্থনীততে স্নাতক। স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পর বর্তমানে তিনি তার ইন্টার্নশিপ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেনিয়া সরকারের অধীনে মিগোরি কাউন্টিতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া মাইকেলেরে নিজস্ব মৌমাছি খামারও রয়েছে।

সারাহ ওয়াইম্বু ওয়ানেনে
সারাহ ওয়াইম্বু ওয়ানেনে একজন কৃষি-উদ্যোক্তা এবং জনগোষ্ঠীভিত্তিক কৃষক মাঠ বিদ্যালয়ের ফ্যাসিলিটেটর (কর্মশালা বা প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সহায়ক)। সারাহ পোলট্রি ও দুগ্ধজাত পণ্যের উৎপাদন ও মুনাফা বৃদ্ধির জন্য কিয়াম্বু প্রদেশজুড়ে কৃষকদের মাঠপর্যায়ের বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তিনি কৃষকদের কৃষি-ব্যবসা, ব্যবসায়ের উন্নয়ন দক্ষতা ও উদ্যোক্তা দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ, কোচিং ও পরামর্শ দিতে গৌরব বোধ করেন। বিশেষ করে, তরুণদের সাথে যুক্ত হতে তিনি বেশি গৌরব বোধ করেন। কেননা, এর ফলে তরুণেরা তাদের ধারণাগুলো আরও ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারবে, যাতে তারা তাদের ব্যবসা বাড়াতে পারে। সারাহ কৃষি-ব্যবসায়ের উন্নয়ন এবং কৃষকদের টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন দেখতে দারুণ উৎসাহী।
ঘানা
আবুবাকারি সাদিক তামিনু
বর্তমানে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত রয়েছেন। তিনি ঘানার উত্তরাংশে কৃষি অনুশীলন বিষয়ে গবেষণা ও প্রশিক্ষণে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে এই অভিজ্ঞতার মাধ্যমে গ্রামীণ কৃষকদের সাথে তার যোগাযোগ দক্ষতা এবং উদ্ভাবনী শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।
অ্যাক্সেস এগ্রিকালচার অ্যাম্বাসেডর হিসাবে, তিনি কৃষকদের কৃষিকাজের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য অ্যাক্সেস এগ্রিকালচার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পর্যাপ্ত তথ্য এবং জ্ঞান দিয়ে সমৃদ্ধ করতে চান।
জাম্বিয়া

ল্যামসেন এনখাতা
ল্যামসেন এনখাতা একজন নিবেদিত প্রাণ প্রাকৃতিক সম্পদ বিশেষজ্ঞ। প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা, এবং টেকসই কৃষির্চ্চায় তাঁর দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি জাম্বিয়ার কাপারবেল্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগ্রোফরেস্ট্রি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি জীবিকার উন্নয়ন এবং পরিবেশের উন্নতির জন্য টেকসই সমাধান বের করার ব্যাপারে কৃষকদের সাথে কাজ করতে দারুণ আগ্রহী। এর আগে ল্যামসেন ইসরায়েলে বিভিন্ন কোম্পানিতে শিক্ষানবিশ কৃষিবিদ হিসেবে কাজ করেছেন এবং জাম্বিয়ায় জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। ল্যামসেনের লক্ষ্য হলো অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের মাধ্যমে ক্ষুদ্র চাষিদের মধ্যে টেকসই কৃষি-প্রশিক্ষণ ভিডিওগুলোর প্রচার এবং কৃষিবিদ্যার চর্চা করা।
জিম্বাবুয়ে

জোসেফ মুসারা
কৃষক-অর্থনীতির তের বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা এবং ৫ এইচ-ইনডেক্স এর একজন গুগল স্কলার হওয়ার সাথে সাথে তিনি একজন গবেষক এবং একাডেমিক। তিনি পরিবারের অর্থনৈতিক সুবিধার্থে জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়ার শুষ্ক অংশগুলিতে জোয়ার ও বাজরা মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষুদ্রধারকদের উন্নয়ন করেছেন এবং ইকোনোমেট্রিক মডেলিং, গ্রামীণ কৃষি বিপণন, উদ্ভাবন সহজে গ্রহণ এবং খাদ্য সুরক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন পদ্ধতির চর্চা এবং প্রয়োগ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে তার দক্ষতা এবং পারদর্শিতা অ্যাক্সেস এগ্রিকালচার অ্যাম্বাসেডর হিসাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।
তাঞ্জানিয়া

নিয়ামঙ্গ চাচা
তানজেনিয়ার সোকোইন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি-অর্থনীতি এবং কৃষি-ব্যবসায় বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এর আগে তিনি কৃষকদের বাজার সম্পর্কিত তথ্য এবং ব্যাংক থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান বিষয়ে প্রাইভেট এগ্রিকালচার সেক্টর সার্পোট (PASS)-এ ইন্টার্নশিপ করেন। তিনি সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার তানজেনিয়া (SAT) পরিচালিত কর্মশালাগুলোতে অংশগ্রহণ করেন এবং জৈবসবজি ও মসলা সম্পার্কিত বিশেষ প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করেন। চাচা জৈব চাষাবাদ ও গ্রামীণ উন্নয়নে দারুণ আগ্রহী এবং তিনি অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের একজন ভালো অ্যাম্বাসেডর হতে আশাবাদী।
টোগো

সেপ্টম মৌসে গো
বেনিনের অ্যাবমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি-বিজ্ঞান অনুষদ থেকে কৃষি-প্রকৌশল বিষয়ে একটি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। গ্রামীণ উন্নয়নে পরামর্শ প্রদান এবং সহায়তা করার ক্ষেত্রে তাঁর ১২ বছরের পেশাদার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে সেপ্টম বেনিনে আন্তর্জাতিক এনজিও ‘দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট’-এর ‘কৃষি ও খাদ্য সুরক্ষা’ কর্মসূচির সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেছেন। সেই থেকে তিনি যে-সব দেশে খাদ্য ও পুষ্টির সংকট রয়েছে সে-সব দেশে একটি আঞ্চলিক খাদ্য নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলার জন্য কৃষি ও খাদ্য সম্পর্কিত আঞ্চলিক সংস্থা ইসিওডাব্লিউএএস-এর মাধ্যমে অবদান রেখে চলেছেন। সেপ্টম কৃষির বিকাশ ও প্রচারে দারুণ উৎসাহী। আফ্রিকায় টেকসই, আকর্ষণীয় ও উৎপাদনশীল কৃষি বিকাশের জন্য তিনি অ্যাকসেস এগ্রিকালচার প্লাটফর্মে প্রদর্শিত ভালো চর্চাগুলো জনপ্রিয় করতে অবদান রাখতে চান।
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো

জিন ব্যাপটিস্টে মুসাবায়মান নটমুগাবুমে
ডিআরসি-তে সিইপিআরওএমএডি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংগঠনিক যোগাযোগ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০৬ সাল থেকে ফেডারেশন অব অরগানাইজেশন অব এগ্রিকালচার প্রোডিউসার অব কঙ্গো, এফওপিএসিএনকে-এর শিক্ষা এবং তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮ সালে তিনি অ্যাসোসিয়েশন অব এগ্রিকালচার জার্নালিস্ট অব কঙ্গো, এজেএসি-এর জাতীয় সমন্বয়কারী নিযুক্ত হন। কৃষিপণ্যের উন্নত উৎপাদনের জন্য তিনি ডিআর কঙ্গোতে অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের ভিডিও ও অডিওগুলো কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তোলার মিশন হাতে নিয়েছেন।

ফোলো এমভম্বি রজার
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো-র টেকনিক্যাল স্কুল অব হায়ার এডুকেশন থেকে ব্যবস্থাপনায় পাণ্ডিত্য লাভ করেন। তাঁর সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা রয়েছে এবং তিনি কৃষি ও জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর বেশ কিছু প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁর এনজিও অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টিগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট অব এনগান্ডা টিসানডি অ্যাডেরিগাস-এর সভাপতি পদে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি মেউম্বি কোকোমা কোকোয়া কো-অপারেটিভ-এর যোগাযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন এবং বর্তমানে তিনি ডিআরসিওএনজিও এএসএসএ-এর জাতীয় নির্বাহী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি তাঁর দেশে এবং আফ্রিকার উপ-অঞ্চলে গণমাধ্যমে এবং একজন উন্নয়নকর্মী হিসেবে ভিডিও প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
দক্ষিন আফ্রিকা

ক্রিস্টি বুসিসিলি এনকিউব
ক্রিস্টি বুসিসিলি এনকিউব দক্ষিণ আফ্রিকার অধিবাসী। স্টিপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকম বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করে নতুন একটি পেশার পথ খুঁজে পাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সম্পত্তি নিয়ে কাজ করতেন। বর্তমানে তিনি হাঙ্গেরিয়ান ইউনির্ভাসিটি অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সে এগ্রিকালচার এঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র। এর পাশাপাশি তিনি এগ্রোমিক্স (এজিআরওএমআইএক্স) প্রকল্পের শিক্ষাধীন প্রকল্প এঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন। সেখানে তিনি কৃষি-বনায়নে (এগ্রোফরেস্ট্রি) কেন্দ্রীয় ও পূর্ব-ইউরোপীয় উত্তরাধিকার নীতিমালা বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি মিশ্র চাষাবাদ এবং কৃষি-সংক্রান্ত প্রকাশনাগুলো নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি ২০২১ সালের জন্য পরামর্শদাতা নেটওয়ার্কের পরামর্শক হিসেবে নিযুক্ত হন এবং হাঙ্গেরি সমর্থক দলে সাউথ আফ্রিকার নারীদের কমিটির সদস্য হিসেবেও কাজ করছেন।
একজন অ্যাকসেস এগ্রিকালচার অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তাঁর লক্ষ্য হলো, কৃষিকাজের আকর্ষণ পুনরুদ্ধার এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে শিক্ষা, সহায়তা এবং উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণ সাথিদের কৃষির প্রতি আগ্রহী করে তোলা যা বর্তমান অভিজ্ঞ কৃষিবিদ ও তরুণদের মধ্যে যারা কৃষিতে আগ্রহী তাদের মিলিত প্রচেষ্টায় কর্মসূচি, অংশিদারি ও পরামর্শদাতা তৈরি করবে।
নাইজার

ইব্রাহিম হামাদু
ইব্রাহিম হামাদু কৃষি অর্থনীতি এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বিভিন্ন কৃষি-প্রকল্পে কাজ করার কুড়ি বছরেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তিনি নাইজারে এবং আফ্রিকার অন্যান্য স্থানে জাতীয় ও বৈশি^ক সংস্থাসমূহে কাজ করেছেন। এগ্রোইকোলজির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ইব্রাহিম এগ্রোইকোলজির উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন, তার কাজের বিষয় তথাকথিত ‘অবহেলিত ফসল’ এবং কৃষকের বীজ। তিনি এগ্রোইকোলজির অঙ্গণে বিনিময়ের নানারকম প্ল্যাটফর্ম (নাইজারে আরএওয়াইএ-কেএআরকেএআরএ, সিওএএসপি, এএমএডি) প্রতিষ্ঠা করার সুবিধা দিয়েছেন। অ্যাম্বাসেডর হয়ে ইব্রাহিম ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য কৃষক, স্কুলের ছাত্র, জনগোষ্ঠীর সংগঠনসমূহ এবং এগুলোর পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মী ও সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের কাছে অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের সম্পদ নিয়ে প্রচার করে এগ্রোইকোলজির উন্নয়নে লড়াই চালিয়ে যেতে আগ্রহী।
নাইজেরিয়া

ডক্টর উমারু গারবা
ডক্টর উমারু গারবা নাইজেরিয়ার সোকোটো শহরের উমারু আলি শিনকাফি পলিটেকনিকের জেনারেল স্টাডিজ বিভাগে ইংরেজি ও যোগাযোগ দক্ষতা বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। তিনি সোকোটোর উসমানু দানফোদিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে বিএ এবং নাইজেরিয়ার কাদুনা রাজ্যের জারিয়ার আহমাদু বেলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি সোকোটো নিউজপেপার কোম্পানিতে আলোকাচিত্র-সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন। জৈব-চাষের প্রতি তাঁর প্রবল আগ্রহ রয়েছে। এর জন্য তিনি জৈব-বাগান ও জৈব-চাষের বিভিন্ন অনলাইন কোর্স সম্পন্ন করেছেন।

এমানুয়েল আকিনওয়ালে
মৎস্য বিষয়ে একজন স্নাতক এবং নাইজেরিয়ার ইবাদান শহরের একোয়াপাপ্রো এগ্রো ইন্ডাস্ট্রি এবং আলফামেট মার্কেটিং কমিউনিকেশনের একজন অপারেশন ডিরেক্টর। তিনি বেশ কয়েকটি বৃহৎ ফিশ ফার্ম এবং সংস্থার হয়ে কাজ করেছেন। তিনি ইবাদান এবং লাগোস বিজনেস স্কুলের দক্ষিণ-পশ্চিম সেন্টারে উদ্যোক্তা উন্নয়নে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং যুক্তরাজ্যের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাসটেইনেবল অ্যাকোয়াকালচার এর একজন মাস্টার্স শিক্ষার্থী।
ইমানুয়েল নাইজেরিয়ার ফিশারি সমিতি, পেশাদারদ প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ব্রিটিশ সংঘ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের নাইজেরিয়ান সমিতিসহ বেশ কয়েকটি বাণিজ্য গ্রুপ এবং পেশাদার সংস্থার সাথে জড়িত ।
তিনি ফিলাম্যাট ইনস্টিটিউট অফ ট্রেনিংয়ের জলজ চাষে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন প্রশিক্ষক এবং কৃষি দক্ষতা ও ক্ষমতায়নের ফেডারেল মন্ত্রকের নাইজার-ডেল্টার এরও একজন প্রশিক্ষক।
তিনি টেকসই কৃষি বিপণন এবং আন্তর্জাতিক বাজার প্রবেশের মাধ্যমে ভ্যালু চেইন উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে ৩০০০ কৃষককে প্রশিক্ষণের জন্য ভারপ্রাপ্ত, ভ্যাকবেলস কৃষক, ওলোডো এগ্রিক ট্রান্স সমবায় সমিতি এবং নাইজেরিয়া যৌথ কৃষক সমিতিতে স্বেচ্ছায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেন।
ইমানুয়েল লাইসেন্স অনুমোদিত সংস্থাগুলোর একজন অনুমোদনকারক, গ্লোবাল জিএপি / ফুডপ্লাস এর একজন পরামর্শদাতা। বর্তমানে তিনি কৃষি ও খামারের আশ্বাসের বিষয়ে অ্যাগ্রোপার্কস ডেভলপমেন্ট সংস্থার একজন পরামর্শদাতা।
তিনি কমনওয়েলথ স্কলার ২০১৮, ডাচ সরকারী স্পনসরড অরেঞ্জ নলেজ স্কলার ২০১৮, যুক্তরাজ্য সরকারী স্পনসরড কানেক্ট আফ্রিকা বিজনেস ২০১৭ এবং এফজিএন / ওয়ার্ল্ডব্যাঙ্ক / ইউউইন ২০১০ সহ বেশ কয়েকটি পুরষ্কার জিতেছেন।

ক্যাথেরিন জন
ক্যাথেরিন জন স্টিপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম বৃত্তির আওতায় হাঙ্গেরিয়ান ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড লাইফ সায়েন্স-এর চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি নাইজেরিয়ার ফেডারেল স্কলারশিপ বোর্ড এবং স্টিপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপের জন্য হাঙ্গেরিতে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। একজন অ্যাকসেস এগ্রিকালচার অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তাঁর লক্ষ্য হলো শিক্ষার মাধ্যমে বিশ^ব্যাপী তরুণদের, বিশেষ করে নাইজেরিয়ানদের কাছে টেকসই কৃষি এবং খাদ্য ব্যবস্থার প্রচার করা। তিনি এমন উদ্যোগগুলো দেখতে চান, যেগুলো ক্ষুদ্র কৃষক, কৃষি-ব্যবসায়ে আগ্রহী ব্যক্তি এবং কৃষিবিদদের মধ্যে পরামর্শদাতা এবং অংশীদারিত্ব তৈরি করবে।

মুসা বিট্রাস এনদাহি
একজন পেশাদার উন্নয়নকর্মী, যার কমিউনিটি উন্নয়ন ও কৃষি সম্প্রসারণ ক্ষেত্রে আট বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত নাইজেরিয়ায় ভিএসও-এর সাথে এবং ফিল্ড এনুমেরেটর হিসেবে অক্সফামে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি কমিউনিটিভিত্তিক কৃষি-সেবা উন্নয়নে জার্মানির ওয়াইএমসিএ মাডা হিলস/ইজেডব্লিউ-এ মাঠ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। মুসা কৃষি অর্থনীতি ও সম্প্রসারণ বিষয়ে স্নাতক এবং বর্তমানে তিনি নাইজেরিয়ার কেফি নাসরওয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পরীক্ষার্থী। তিনি নাইজেরিয়ার নাসরওয়া স্টেটে ওয়াইএমসিএ-অক্সফাম গ্রামীণ সঞ্চয় ও ঋণ সমিতিগুলোতে সুবিধাভোগীদের উপলব্ধি ও অংশগ্রহণের স্তর মূল্যয়ন করে থাকেন। মুসা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কম্যান ক্লিন সেন্টার পরিচালিত গবেষণা স্প্রিন্ট ‘ডিজিটাল ইথিক্স ইন টাইম অব ক্রাইসিস : কোভিড-১৯ অ্যান্ড অ্যাকসেস টু এডুকেশন লার্নিং স্পেসেস’-এর একজন অংশগ্রহণকারী। কৃষিচর্চার পরিপ্রেক্ষিতে নাইজেরিয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য তিনি অ্যাকসেস এগ্রিকালচার এবং ইকোঅ্যাগটিউব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে চান।

এজিন এমিয়ানা
এজিন এমিয়ানা যুক্তরাজ্যের কভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এগ্রোইকোলজি, ওয়াটার অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স থেকে ‘এগ্রোইকোলজি ও খাদ্যে সার্বভৌমত্ব’ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর পিএইচডি গবেষণা টেকসই কৃষিচর্চা এবং খাদ্য ব্যবস্থা এবং এগ্রোইকোলজিকাল চর্চায় রূপান্তরের পথ এবং এগ্রোইকোলজিকাল জ্ঞান ও ‘কো-ক্রিয়েশন’-এর ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা। পিএইচডি গবেষণা করার আগে এজিন ফেডারেল কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে নাইজেরিয়ার আবুজায় একজন গবেষক ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। তার গবেষণা কাজগুলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সহযোগিতায় উদ্ভাবনী পদ্ধতির পরিকল্পনা ও বিকাশের স্থায়িত্ব বোঝার ক্ষেত্রে অবদান রাখে যা এগ্রোইকোলজিকাল জ্ঞানের পারস্পরিক বিনিময় বাড়াতে পারে। এজিন বর্তমানে কৃষি খাদ্য ব্যবস্থায় লৈঙ্গিক সহিংসতা এবং আফ্রিকায় এগ্রোইকোলজিকাল উন্নয়নের সম্ভাব্যতা যাচাই করছেন। তিনি ‘কো-ক্রিয়েশন’ কৌশল জ্ঞান কাজে লাগিয়ে তৃণমূলের মানুষকে এগ্রোইকোলজিকাল চর্চায় জড়িত করার মাধ্যমে অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের কাজগুলোর প্রচার করতে আগ্রহী।
বেনিন

আবদুর রাজ্জাক মিডিংগয়ি
আবদুর রাজ্জাক ফ্রান্সের বোরদো-তে অবস্থিত মন্টেস্কিউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় সৃষ্টি ও উদ্যোক্তা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি উদ্যোক্তা, ব্যবসায় সৃষ্টি ও উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষক হিসেবে কৃষি-ব্যবসা, নবায়নযোগ্য শক্তি ও আইসিটি খাত বিষয়ে তরুণ উদ্যোক্তাদের সাথে কাজ করছেন। একজন অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তিনি সেইসব তরুণ কৃষকদের মাঝে ভালো কৃষিচর্চার প্রচার করতে আগ্রহী যারা অ্যাকসেস এগ্রিকালচার এবং ইকোএগটিউব ভিডিওগুলো ব্যবহার করে টেকসই উন্নয়নের ব্যাপারে উচ্চ আশা পোষণ করেন।

বোকোসা থাইবার্স সিওডাইন
একজন জৈব-পরিসংখ্যানবিদ। এ-বিষয়ে তিনি মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। কৃষি-বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ এবং প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে তাঁর অভিজ্ঞতা পাঁচ বছরের বেশি এবং বর্তমানে তিনি বেশ কিছু কৃষি-প্রকল্পে কাজ করছেন। অ্যাকসেস এগ্রিকালচার অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তিনি কৃষি-শিক্ষার্থীদের কৃষিকাজ শেখার পাশাপাশি কৃষি-ব্যবসায় শুরু করতে অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ভিডিও প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে উৎসাহ দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ইয়োলু মোনরো
ইয়োলু মোনরো বেনিনের অ্যাবোমি-কালাভি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি একজন জিনতত্ত্ববিদ এবং গাছপালার উন্নয়নকারী। ২০১৬ সাল থেকে তিনি গ্রামাঞ্চলে তরুণদের উন্নয়নের সাথে জড়িত। এর ফলে তিনি তরুণদের সাথে থেকে তাদের কৃষি-উদ্যোগের ব্যবস্থাপনায় পরামর্শ দিতে পারেন এবং ভালো চাষাবাদের চর্চা ও এগ্রোইকোলজি গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেন। ইয়োলু স্ব-কর্মস্থান এবং কৃষি উদ্যোক্তা বিষয়ে অ্যাবোমি-কালাভি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ, এবং মানবিক অনুষদের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকেন। একজন অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ইয়োলু ভালো কৃষিচর্চা বিকাশে সহায়তা করার জন্য গ্রামীণ নারী ও তরুণদের কাছে অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ভিডিওগুলো সহজলভ্য করতে চান।

মালিকি অগ্নোরো
অ্যাবোমে-কালাভি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিজ্ঞান বিভাগের একজন স্নাতক। তিনি একজন তরুণ ‘বেনিনেজ’ পেশাদার, যাঁর যুব উদ্যোক্ত উন্নয়ন এবং গ্রামীণ উন্নয়নে এক দশকের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁর বর্তমান লক্ষ্য হলো, তিনি অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কৃষকদের জন্য কার্যকর কৃষি-প্রশিক্ষণ এবং গ্রামীণ ব্যবসায়ের উন্নয়নে কাজ করা।

মহুগনো নেহেমিয় কোতোবিডিজো
বেনিনের পারাক্যু বিশ্ববিদ্যালয়ের চাষাবাদ অনুষদ থেকে কৃষিবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি কীভাবে গ্রামীণ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা যায় এ-বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন। তার লক্ষ্য হলো, গ্রামীণ বিশ্বের টেকসই রূপান্তর ঘটানো এবং সেটা তিনি করতে চান অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের ভিডিগুলোতে যে উদ্ভাবনী সমাধান দেখানো হয় সেগুলো প্রচারের মাধ্যমে।

রোমাল্ড উলরিচ আসোগবা
গ্রামীণ অর্থনীতি ও সম্প্রসারণ বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং বেনিনের অ্যাবমি-ক্যালাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞান অনুষদ থেকে কৃষি সম্প্রসারণ এবং পরামর্শে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি বর্তমানে জৈব ও পরিবেশগত কৃষিচাষের প্রচারে কাজ করছেন। কৃষি পরামর্শ সম্পর্কে উত্সাহী, বিশেষত জৈব চাষ, তিনি জৈব ও পরিবেশগত কৃষি সম্পর্কিত তদারকি ও পরামর্শ এজেন্সি (ASCABE) তেও কর্মরত এবং বেনিন অ্যাসোসিয়েশন অফ এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন অ্যান্ড কনসালটিং প্রফেশনালসের (এবিপিভিসিএ) ফাউনডেশনর সদস্য। অ্যাকসেস এগ্রিকালাচার-এর অ্যম্বাসেডর হিসেবে রোমুয়াল্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ এবং উত্পাদনকারী উভয় ক্ষেত্রে কৃষি প্রশিক্ষণের জৈব ও পরিবেশগত ভিডিও প্রচার করতে চান।

জিন-জ্যাকস সেনৌ ওসেনি জিনসৌ
বেনিনে কৌশল এবং ব্যবসায়িক রূপান্তরের বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতা। তিনি নিয়মিত ওয়েবসাইট, সংবাদপত্র, রেডিও স্টেশন, টিভি স্টেশনগুলিতে কৃষি তথ্য প্রেরণ করেন। তিনি কৃষি সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে ব্লগ করেন এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলির জন্য লেখেন। একটি দলের সহায়তায় তিনি তালিকাভুক্ত পার্টনারদের জন্যএকটি ওয়েব প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার পরিকল্পনা করছেন। তিনি এবং তার দল কৃষি পরামর্শ সম্পর্কে কথা বলতে একটি স্থানীয় পত্রিকার কলাম স্থাপনের জন্য আলোচনা করছেন। তারা স্থানীয় রেডিওতে একটি কৃষি উপদেষ্টা প্রোগ্রাম এবং একটি কৃষি টিভি প্রোগ্রাম চালু করার পরিকল্পনা করছেন। এর অংশ হিসাবে তারা কৃষি মূল্য চেইনের উপর একটি প্রোগ্রামের প্রচারের জন্য বিবি২৪ টিভি চ্যানেলের সাথে আলোচনা করছেন। যুবক এবং মহিলাদেরকে উদ্দেশ্য করে জিন-জ্যাক বিভিন্ন যোগাযোগের চ্যানেল এবং নেটওয়ার্কগুলির মাধ্যমে অ্যাক্সেস এগ্রিকালচার এবং এগটিউব ভিডিও প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে তাদের অবহিত করতে চান।

নিমাতৌ কৌরোতা
বেনিনের কোটোনোর আফ্রিকান প্রযুক্তি ও পরিচালনা বিশ্ববিদ্যালয় (ইউএটিএম) জিএসএ-এর একজন বায়োটেকনোলজির প্রযুক্তিবিদ, বিশেষত কৃষিব্যবস্থায় বিশেষজ্ঞ । অ্যাক্সেস এগ্রিকালচার অ্যাম্বাসেডর হিসাবে তিনি অ্যাক্সেস এগ্রিকালচার ভিডিও এবং উদ্ভাবন প্রচারের মাধ্যমে বেনিনে কৃষিকে সম্প্রসার করার পরিকল্পনা করছেন।

ফিফেম ক্ল্যারিস ভিক্টোয়ার লোক
একজন কৃষিবিদ। তিনি অ্যাবমি কালাভী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিদ্যা বিজ্ঞান অনুষদ থেকে কৃষি ও খাদ্য-বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পুষ্টি ও খাদ্য-বিজ্ঞান বিকল্প বিষয়সহ কৃষিবিদ্যায় তিনি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বেনিনে নারী কৃষকদের জাতীয় সমিতির সাথে কাজ করেছেন। সংগঠনটি নারী কৃষকদের উন্নত জীবন-যাপন ও কাজের পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করে। এই সংগঠনের সাথে কাজ করার ফলে ভিক্টোয়ার জেন্ডার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কৃষকদের সংগঠন ও গ্রামীণ উন্নয়নে কাজ কারার দক্ষতা অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি পরামর্শক ও প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি দেখছেন যে, অ্যাকসেস এগ্রিকালচার অ্যাম্বাসেডর হওয়ার পর তিনি কৃষকদের সাথে নতুন ধারণা, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী নিয়ে কাজ করতে পারছেন।
ভারত

আকঙ্কশা তিওয়ারি
ভারতের বানারাস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এর পরিবেশ ও স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান থেকে পরিবেশ বিজ্ঞান (পরিবেশ প্রযুক্তি) বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি হায়দ্রাবাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এগ্রিকালচার এক্সটেনশন ম্যানেজমেন্টে গবেষণা ইন্টার্ন হিসাবে কাজ করেছেন এবং বর্তমানে চেন্নাইয়ের সিটিজেন কনজিউমার এবং সিভিক অ্যাকশন গ্রুপে পরিবেশ ও জলবায়ু অ্যাকশন দলের সাথে গবেষক হিসাবে কাজ করছেন। তিনি হায়দরাবাদে দক্ষিণ এশীয় পিপলস অ্যাকশন অন ক্লাইমেট ক্রাইসিসের (এসএপিএসিসি) কমিটির একজন সদস্য। অ্যাক্সেস এগ্রিকালচার অ্যাম্বাসেডর হিসাবে, তিওয়ারি সারা ভারত জুড়ে উদ্ভাবনী কৃষকদের স্থানীয় পদ্ধতি এবং তাদের স্ব-তৈরি সরঞ্জাম এবং কৌশলগুলির উপর ভিত্তি করে স্বাস্থ্যকর এবং জৈবভাবে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির ভিডিওগুলি সংরক্ষণ এবং শেয়ার করতে তাদের নিযুক্ত করতে চান।
ম্যাডাগ্যাস্কার

সিটাকিলাইনা ফিফালিয়ানাহারিন্টসো
মাদাগাস্কার আন্তানানারিভো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খাদ্য ও পুষ্টি-বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি এস্পেরেঞ্জা জয় অব চিল্ড্রেন নামক একটি এনজিও এবং আন্তানানারিভো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে খাদ্যসামগ্রীর ‘ডিজাইন’ করেন এবং অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াই করেন। অ্যাকসেস এগ্রিকালচার অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তিনি কীভাবে ভালো কৃষি কাজের অনুশীলন করা যায় সে-বিষয়ে ভিডিওর মাধ্যমে কৃষকদের বিশেষত গ্রামীণ কৃষকদের উদ্ভাবনী ধারণা দিতে চান এবং এবং তাঁর নিজের অভিজ্ঞতাগুলো তাদের সাথে শেয়ার করতে চান।
মালাউই

প্যাট্রিক খোঙ্গা
কন্টিনিউয়িং এডুকেশন সেন্টার থেকে ব্যবসা পরিচালনা বিষয়ে ডিপ্লোমা অর্জন করেন। তিনি ইটালির একটি বেসরকারি সংস্থা সিআইএসপি-তে অর্থ-ব্যবস্থাপক হিসেবে আট বছর কাজ করেছেন। তিনি সিএইচএকেএইচও ফার্মের প্রতিষ্ঠাতা এবং ২০১৪ সাল থেকে এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই ফার্মটি উদ্যানচর্চা, পোল্ট্রি, গবাদিপশু ও ছাগল পালনে বিশেষায়িত এবং এটি মালাউই-এর রাজধানী শহর লিলংগোয়-তে অবস্থিত। কৃষি-ব্যবসায়ে আয় বাড়ানোর জন্য বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করার ক্ষেত্রে ‘কৃষক থেকে কৃষক’ ভিডিওগুলো গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

মূসা কাউফা
একজন পেশাদতার গণমাধ্যম কর্মী। তিনি গণযোগাযোগ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রোডাকশন, প্রকাশনা, কমিউনিটি ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালনা, বার্তা সম্প্রচার ও অনুবাদ, কমিউনিটি মোবিলাইজেশন ও নাগরিক শিক্ষা, কমিউনিটি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদার করা, অ্যাভোকেসি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রভৃতি বিষয়ে তাঁর দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমানে তিনি ‘কৃষক থেকে কৃষক’ ভিডিও প্রোডাকশন করছেন, গ্রামীণ উন্নয়নে উদ্ভাবনী কাজকে সমর্থন জোগাচ্ছেন এবং মালাউই-তে ‘কৃষক থেকে কৃষক’ ভিডিও সম্প্রচারের কাজ করছেন। একজন অ্যাকসেস এগ্রিকালচার অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

প্যাট্রিক কেন কলন্ডে
এগ্রিকালচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (LUANAR) থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ [ভূমি ও পানি] ব্যবস্থাপনায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ইয়ুথ ফর এনভায়রনমেন্টাল ডেভেলপমেন্ট-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এই সংস্থাটি ‘মেরিন লিটার’ ইস্যু নিয়ে কাজ করে। তিনি বান্ডা সোসাইটি অব ইনোভেটরস-এরও সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক একটি ক্লাব। এই ক্লাবটি শিক্ষার্থীদের দ্বরা উদ্ভাবনীগুলোর চর্চা করে। টেকসই ভ‚মি ব্যবস্থাপনা, ‘পারমাকালচার’ এবং ভেড়া চাষে তাঁর প্রবল ইচ্ছা রয়েছে এবং এই জন্য একজন অ্যাকসেস এগ্রিকালচার অ্যাম্বসেডর হিসেবে তিনি গর্ব বোধ করেন।

জুলিয়াস মাওয়ান্ডে
লিলংওয়ে ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার এন্ড ন্যাচারাল রিসোর্স (LUANAR) থেকে কৃষিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি বলাকা জেলায় কৃষি কমিউনিকেশন অফিসার হিসাবে কাজ করেছেন। জুলিয়াস ২০১৭ সাল থেকে লিলংওয়েতে আইসিটি প্রো-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে আছেন, তিনি বৈদ্যুতিন যন্ত্র এবং সরঞ্জামগুলিতে বিশেষজ্ঞ। মালাউইতে ভাল কৃষিকাজকে গ্রহণ ও কৃষি অনুশীলণের উন্নতির জন্য কৃষি বার্তাগুলি ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বাস করেন যে মিডিয়া এবং আইসিটি হ'ল শক্তিশালী সরঞ্জাম। অ্যাক্সেস এগ্রিকালচার ভিডিও এবং অন্যান্য উপকরণের মাধ্যমে কৃষি জ্ঞান প্রচারই হ'ল জুলিয়াসের লক্ষ্য।

ইনোসেন্ট মাসানজালা
ইনোসেন্ট মাসানজালা হলেন এগ্রিনিউজমালাউই.কম [agrinewsmalawi.com] -এর প্রতিষ্ঠাতা। এটি ওয়েবভিত্তিক একটি সামাজিক উদ্যোগ। এই প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হলো মালাউইয়ের তরুণেরা যেন কৃষিকে একটি টেকসই পেশা হিসেবে নিতে পারে তার জন্য কৃষির প্রচার ও রিব্র্যান্ডিং করা।
অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের একজন অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ইনোসেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর পাশাপাশি মালাউইয়ের গ্রামাঞ্চলে জনগোষ্ঠীগুলোতে ভিডিও দোকানগুলোর মাধ্যমে তরুণ কৃষকদের নেটওয়ার্কে অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ভিডিওগুলো ব্যবহারের প্রচারণা করবেন।

রেভ ডেস্টিন বিকাউতা লৌমৌমৌ
রেভ ডেস্টিন বিকাউতা লৌমৌমৌ ব্রাজাভিলের অধিবাসী এবং তিনি একজন প্রশিক্ষিত সাংবাদিক। বর্তমানে তিনি ব্রাজাভিলের প্রধান ধর্মযাজকের এলাকায় যোগাযোগ পরিসেবার সাথে যুক্ত আছেন এবং রেডিও ম্যাগনিফিকেটে অনুষ্ঠান উপস্থাপক ও প্রতিবেদকের দায়িত্ব পালন করছেন। বিশপের এলাকার জন্য ইউটিউব চ্যানেলের অ্যানিমেশন (চিত্রায়ণ, সম্পাদনা, ভয়েস ওভার)-এর দায়িত্বও বিকাউতা’র ওপর ন্যস্ত। প্রায় ১০ বছর ধরে বিকাউতা জৈবকৃষিকাজ ও প্রাণিসম্পদ প্রজননের বিষয়ে আগ্রহী, যা তিনি তাঁর সাংবাদিকতার বাইরে করে থাকেন।
অ্যাকসেস এগ্রিকালচার অ্যাম্বাসেডর হওয়ার সুবাদে বিকাউতা অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ও এগটিউব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অন্য দেশের এগ্রোইকোলজি, কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও আরও অনেক বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করে উপকার পেতে তাঁর জনগোষ্ঠীর তরুণ ও নারীদের উৎসাহিত করতে পারেন।

হ্যাপি আর্নল্ড
হ্যাপি আর্নল্ড মালাউই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক স্টাডিজ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পলিটেকনিক থেকে সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা নেন। সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ২০১৬ সালে ‘ইয়ুথ ইন এগ্রিকালচার ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট’ (ওয়াইএইডি) প্রতিষ্ঠা করার আগে তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন এবং তার বেশ কিছু নিবন্ধ অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। ওয়াইএইডি-এ আর্নল্ড তরুণ কৃষকদের প্রস্তুত করতে কৃষি-প্রশিক্ষণ প্রদান ও খামার ইনপুট (জৈবচাষে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত পণ্য) এবং তাদের ক্ষমতায়ণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন। ২০১৭ সালে তিনি তরুণ নেতাদের বিশ্বব্যাপী ফোরামে ‘ওয়ান ইয়াং ওয়ার্ল্ড অ্যাম্বাসেডর’ নির্বাচিত হন। উইল্টন পার্কের অধীনে আনর্ল্ড ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ চ্যাম্পিয়ন’ এবং ওয়ার্ল্ড লার্নিংয়ের অধীনে ‘বিজনেস অব ট্রুথ আফ্রিকা’-র বোর্ড সদস্য হিসেবেও কাজ করছেন।
মালি

সিডি ইহিয়া তৌনকারা
নাইজেরিয়ার ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণীবিজ্ঞানে ইঞ্জেনিয়ারিং ডিগ্রি এবং কৃষি সম্প্রসারণ ও গ্রামীণ বিকাশ বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। কৃষিবিদদের সাথে আলোচনা করাসহ প্রাণিসম্পদ বিষয়ে মাঠ-পর্যায়ে কাজ করার দারুণ অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তিনি এর আগে প্যান আফ্রিকান টিসেটস অ্যান্ড ট্রাইপোনোসোমোসিস এরাডিকেশন ক্যাম্প্যাইন এবং ন্যাশনাল সেন্টার অব এগ্রোনোমিক্স রিসার্চ অব সোটুবা-তে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি মালিতে TAAT প্রকল্পে টেকনোলজি ট্রান্সফার অফিসার হিসেবে কাজ করছেন। তিনি একজন অ্যাকসেস এগ্রিকালাচার অ্যম্বাসেডর হিসেবে তাঁর জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগাতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
রুয়ান্ডা

ফ্রাঙ্কোইস রেগিস হাকিজিমানা
রুয়ান্ডা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ক্লিন্টন হেল্থ অ্যাকসেস ইনেশিয়েটিভ (CHAI) এ গত তিন বছর ধরে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। এখানে তাঁর চর্চার বিষয় ভুট্টা এবং সয়াবিন শস্য। এর আগে তিনি ইসরাইলে টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনার ওপর ইন্টার্নশিপ করেন। একবছর তিনি কৃষি অধ্যয়ন করেন এবং ফল ও সবজি চাষে অংশগ্রহণ করেনে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সাথে তাঁর পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। একজন অ্যাকসেস এগ্রিকালচার অ্যাম্বাসেডর হিসেবে হাকাজিমানা কৃষক এবং তাদের গ্রামীণ ব্যবসায়ের সুবিধার জন্য কার্যকার কৃষি-প্রশিক্ষণ ভিডিও প্রচার করতে বদ্ধপরিকর।

জেনিট মুকাবালিসা
উদ্যানচর্চা বিষয়ক কৃষি-ব্যবসায়ের প্রতিষ্ঠান ‘গ্রেট গ্রিন গার্ডেন্স’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি রুয়ান্ডা বিশ^বিদ্যালয়ের আইএনইএস ক্যাম্পাস থেকে গ্রামীণ উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ে প্রথম শ্রেণি পেয়ে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। কমিউনিটি উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলোর রাজ্যে তাঁর ব্যাপক অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা রয়েছে, যার সাহায্যে তিনি কৃষকদের কৃষিকাজকে বিদ্যমান অবস্থা থেকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করতে পারেন। জেনিট ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রুয়ান্ডায় মিলিনিয়াম ভিলেজ কমিউনিটি ডেভেলেপমেন্ট সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, এর আগে তিনি আন্তর্জাতিক রেসকিউ কমিটির সাথে স্বনির্ভরতা কর্মসূচিতে কর্মসূচি ব্যবস্থাপক হিসেবে ছয় বছর কাজ করেছেন। তিনি বিশটিরও বেশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠায় সাহায়তা করেছেন এবং পূর্ব-রুয়ান্ডার বুগেসেরা জেলায় দুটি সুশীল সমাজ [সিভিল সোসাইটি] গঠনে অবদান রেখেছেন।
লাইবেরিয়া

জনাথন এস স্টুয়ার্ট
কৃষিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং যুব উন্নয়ন ও কৃষি বিভাগে ১০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমানে, জোনাথন অ্যাগ্রো টেক লাইবেরিয়ার নির্বাহী পরিচালক - এটি একটি যুবভিত্তিক বেসরকারী সংস্থা যেখানে তিনি যুবসমাজকে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য হ্রাস করার জন্য তাদেরকে কৃষিক্ষেত্রে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। তিনি শান্তি-নির্মাণ, কৃষিপ্রদর্শন এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রমে পরামর্শদাতা হিসাবে যুবদের বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও কাজ করেন। জোনাথন কৃষিক্ষেত্র এবং উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে "ক্ষুধা শূন্য" এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল আফ্রিকায় রূপান্তরের জন্য যুব নেতৃত্বকে চ্যাম্পিয়ন করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জোনাথন একজন "পরিবেশ কর্মী", যিনি লাইবেরিয়ার প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু-স্মার্ট অনুশীলনগুলিতে সচেতনতা তৈরি করে সবুজ পরিবেশের জন্য প্রচার এবং প্রসার করেন।
সেনেগাল

আবদৌলে ডিওপ
ডিওপ সেনেগালের গেস্টন বারগার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রামীণ উন্নয়ন ও সহযোগিতা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি স্বাস্থ্যকর খাদ্যের জন্য জৈবকৃষি এবং শিক্ষা নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংস্থা ‘গি বল্লাল’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। আবদৌলে বিপণন বিষয়ে বিশেষ করে ডিজিটাল বিপণনে বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করেছেন। তিনি তাঁর আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে এবং নিজের হোয়টসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম-সহ সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কগুলোতে অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ভিডিওগুলো শেয়ার করার পরিকল্পনা করেছেন।

ইব্রাহিম কামারা
কৃষিব্যবস্থাপনা বিষয়ের একজন কৃষিবিদ, কোচ ও প্রশিক্ষক। বর্তমানে তিনি আধুনিক মৌমাছি পালন এবং কৃষিবিজ্ঞানের প্রচারের একটি প্রকল্পে দায়িত্ব পালন করছেন। তরুণদের উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি, কৃষি-সম্পর্কিত ক্যারিয়ার গঠন এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় একীভূত করার জন্য প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদানে ইব্রাহিমের প্রশংসনীয় অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি কৃষির রূপান্তর প্রক্রিয়া, অংশগ্রহণমূলক বন্ধকী নিয়ম এবং পারিবারিক চাষাবাদের সাথে জড়িত। নবীন ও প্রবীণ উভয় ধরনের উৎপাদনকারীর সাথেই তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে এবং তিনি অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের ভিডিওগুলোর প্রচার ও নতুন উদ্ভাবনীর জন্য সবসময় উন্মুখ হয়ে থাকেন।
হাইতি

ওয়াডসন ভোলনে
পেশায় একজন কৃষিবিদ। তিনি স্টেট ইউনিভার্সিটি অব হাইতি [ইউইএইচ]-এর কৃষিবিদ্যা ও পশু ওষুধ অনুষদে লেখাপড়া করছেন। তাঁর অধ্যয়নের প্রধান বিষয় খাদ্যবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি [এসটিএ]। তিনি ভুট্টা প্রক্রিয়াজাত করার একটি ছোট্ট আধা-শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তি ও উৎপাদন ব্যবস্থাপক। (স্থানীয় ক্রেওয়ল ভাষায় যাকে বলা হয় চানমচানাম)। তিনি ধ্রুপদী ও কৃষি-প্রযুক্তি স্কুলের ‘জীবন ও পৃথিবী’ বিষয়ের একজন শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
ওয়াডসন হাইতির গ্রামীণ এলাকায় কৃষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের কাজের প্রচার করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।