কৃষকদের যখন খুব উর্বর জমি না থাকে এবং তাদের জমির মাটি দুর্বল থাকে, তখন মাটির ক্ষয় নিয়ন্ত্রণ করা ফসল ও কোনও ফসলের মধ্যে পার্থক্য আনতে পারে।
মূলত যেকোনো ফসল উৎপাদন ব্যবস্থার কেন্দ্রে থাকে মাটি। স্বাস্থ্যকর মাটি না হলে ভালো ফলন হয় না। যখন জাতীয় ও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে মাটি-ক্ষয়ের প্রভাব পরিমাপ করা প্রায় অসম্ভব, তখন কৃষিজমি সংরক্ষণের কার্যকর কৌশলগুলো বিদ্যমান থাকলে সকল কৃষকই পার্থক্য বুঝতে পারেন।
জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে আগের তুলনায় বেশি ও তীব্রগতির বৃষ্টিপাত হচ্ছে, ফলে মাটির ক্ষয় রোধ করার জন্য ঠিক কৌশলগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
বুর্কিনা ফাসোর হালকা গড়ানো ভূমি থেকে শুরু করে উত্তর ভিয়েতনামের খাড়া পাহাড়ি ভূমি পর্যন্ত নিম্নমানের মাটি ব্যবস্থাপনার দরুন বারিপাতের ধ্বংসাত্মক প্রভাব আমি দেখেছি। এমন কি মুষলধারে বৃষ্টি হলে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত হালকা ঢালু জমির উপরের মাটি ধুয়ে যায় এবং এর উপরিভাগ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে আর কোনো জল মাটিতে ঢুকতে পারে না।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বুর্কিনা ফাসোর কৃষকেরা বৃষ্টির পানি চোয়ানোর জন্য কন্ট্যুর বান্ড (ক্ষেতজুড়ে প্রতি ২০ মিটার অন্তর খাড়া উঁচু আল তৈরি করা) নির্মণ করতে শিখেছে। খাড়াভাবে নেমে যাওয়া জমি পশু বা মেশিন দিয়ে চাষ করা কঠিন ব্যাপার, গাছপালার বাধা অথবা টেরেস মাটির ক্ষয় রোধের সম্ভাব্য সমাধান হতে পারে।
ভূমির ঢাল, মাটির ধরণ, শ্রমিকের উপস্থিতি এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে মাটি ও পানি ব্যবস্থাপনার অনেক বিকল্প উপায় আছে। WOCAT (দ্য ওয়ার্ল্ড ওভারভিউ অব কনজারভেশন অ্যাপ্রোচেস অ্যান্ড টেকনোলজিস)-এর মতো সহায়ক সংস্থাগুলোর নেটওয়ার্কগুলো একটি অনুমোদিত ওয়েবসাইটে মাটি ও পানি ব্যবস্থাপনার শত শত টেকসই প্রযুক্তি নিয়ে কৃষকদের সাথে কাজ করছে।
যদিও অনেক উন্নয়ন সংস্থা ও প্রকল্পের কর্তাব্যক্তিরা বিশ^াস করেন যে, ক্ষুদ্র কৃষকদের খনিজ সার ব্যবহার করতে উৎসাহিত করাই ভালো ফসল উৎপাদনের দ্রুততম উপায়, কিন্তু মাটি সংরক্ষণের যথাযথ কৌশল অবলম্বন না করলে কৃষকেরা দেখবেন যে, তাদের বিনিয়োগের সিংহভাগই জলে গেল।
এই সম্পর্কিত অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের ভিডিও
এবং আরও অনেক কিছু এই বিভাগের অধীনে স্থায়িত্বশীল ভূমি ব্যবস্থাপনা
এই সম্পর্কিত ব্লগসমূহ
অন্যান্য উৎস
টেকসই ল্যান্ড ম্যানেজমেন্টের উপর WOCAT গ্লোবাল ডাটাবেস: