
সিজিআইআর, একটি বৈশ্বিক কৃষি-গবেষণা নেটওয়ার্ক, এর নির্বাহী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডক্টর ইসমাহানে ইলাউফি মিশরের প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলে নারী ও তরুণ শ্রেণিসহ কৃষকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর এগ্রিকালচার রিসার্চ ইন ড্রাই এরিয়া (আইসিএআরডিএ) এবং মিশরীয় এগ্রিকালচার রিসার্চ সেন্টার (আরআরসি)-এর সাথে জার্মান সরকারের অর্থায়নে একটি প্রকল্পের মূল অংশীদার হিসেবে কাজ করে।
দ্য ইনোভেটিভ এগ্রিকালচার ফর স্মলহোল্ডার রেজিলিয়েন্স (আইএনএএসএইচআর) প্রকল্পটি গত তিন বছর ধরে বাস্তবায়িত হয়েছে, যে সময়ে কোভিড-১৯ মহামারি চলছিল এবং পানির প্রাপ্যতার অনিশ্চয়তাসহ খামারে উৎপাদিত শস্যের মূল্যে অস্থিরতা বিরাজ করছিল।
তা সত্ত্বেও, এন্টারপ্রেনর ফর রুরাল অ্যাকসেস (ইআরএ’এস)-এর ১৮টি দল ডিজিটাল এক্সটেনশন পরিষেবাপ্রদানকারী হিসেবে কাজ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ৬০ হাজারেরও বেশি লোকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিল। তিনটি কাজ বিশেষভাবে সম্পাদন করা হয়েছিল, ‘কৃষক-থেকে-কৃষক’ শৈলীর প্রশিক্ষণ ভিডিও তৈরি করা হয়েছিল এবং অ্যাকেসেস এগ্রিকালচারের অন্যান্য ৬০টি প্রাসঙ্গিক ভিডিও আরবি ভাষায় অনুবাদ করা এবং সেগুলো কৃষকদের দেখানো হয়েছিল। এই সক্রিয় পরিষেবাপ্রদানকারীদের অর্ধেকই ছিল নারী, তারা সেইসব জনগোষ্ঠীতে পৌঁছেছিলেন যেখানে বিদ্যুতের সরবরাহ, ইন্টারনেট সংযোগ এবং মোবাইল ফোনের সিগনাল পাওয়া চ্যালেঞ্জিং সেইসব স্থানে তারা একটি সৌরচালিত স্মার্ট প্রজেক্টর ব্যবহার করে কৃষকদের ভিডিও দেখিয়েছিলেন।
দলগুলো লক্ষ্য করেছিল যে, ভিডিওগুলো কৃষকদের বেড উঁচু করা, পালা করে সিমজাতীয় ফসল রোপণ করা এবং একই সাথে খামারের জায়গা কমে যাওয়া রোধ করার মাধ্যমে উপার্জন বাড়াতে সাহায্য করেছে। অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ভিডিওগুলোর সাথে কম্পোস্টিং, দল গঠন এবং ছোটো গবাদিপশুদের বিকল্প খাবার (ফিড) এবং জীবিকার বাস্তব উন্নতি, একইসাথে জল ব্যবহারে আরও দক্ষতা অর্জন এবং ক্ষতিকারক কীটনাশক ও রাসায়নিক সার কম প্রয়োগের বিষয়ের ভিডিওগুলো যুক্ত রয়েছে।
প্রকল্প সমাপনী কর্মশালায় জার্মান সরকারের উপদেষ্টা ডাগমার উইটিন মন্তব্য করেন যে, অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের লরা ট্যাবেট (প্রকল্প ব্যবস্থাপক) এবং ফ্যাডি ওয়াগডি সেগফ্রো (ইআরএ প্রশিক্ষক)-এর উৎসাহ তাঁকে তাঁর মাঠ পরিদর্শনের সময় অনুপ্রাণিত করেছিল।
আইসিএআরডিএ-এর প্রকল্প পরিচালক বেজা ডেসালেগন বলেছেন যে, অ্যাকসেস এগ্রিকালচার তাদের বুঝতে সাহায্য করেছে, ‘বিজ্ঞান ও স্থানীয় জ্ঞানের ওপর নির্ভর করে কৃষক-বান্ধব পদ্ধতি’র গুরুত্ব সবার দৃষ্টিগোচরে এনে কীভাবে তরুণ ও সুশীল সমাজ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে কৃষকদের কাছে পৌঁছাতে হয়।
সকল অংশীদারকে ধন্যবাদ জানিয়ে অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের নির্বাহী পরিচালক জোসেফিন রজার্স পরিসমাপ্তি টেনে বলেন, “‘কৃষক-থেকে-কৃষক’ ভিডিওগুলোর ব্যবহার মিশরের অন্যান্য অংশে এবং এর বাইরে উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে প্রসারিত করাই এখন সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ।”