অ্যাকসেস এগ্রিকালচার এমন একদল উৎসাহী মানুষের সমন্বয়ে গড়া সংগঠন যারা কৃষক ও গ্রামীণ ব্যবসায়ের কল্যাণে কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ ভিডিও প্রচারে নিবেদিতপ্রাণ।
ভিডিওগুলোকে স্থানীয় ভাষায় তৈরি করতে ও সে-সবের বহুমুখি প্রচার নিশ্চিত করতে অ্যাকসেস অ্যাগ্রিকালচার ২০০ জনের বেশি কমিউনিকেশন পেশাদারের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে।
আমাদের উৎসাহী দল

জো রজার্স
যুক্তরাজ্যের লেসটার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ-এ মাস্টার্স ডিগ্রি ও কৃষিবিজ্ঞান-এ ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন। প্রায় ৩৫ বছর ধরে জোসেফাইন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে কৃষি, খাদ্য ও গ্রামীণ উন্নয়ন বিষয়ে বিভিন্ন ইন্টার-এ্যাকটিভ প্রশিক্ষণ প্যাকেজ তৈরি ও ব্যবসার কাজ করছেন, যেগুলো পুরষ্কৃতও হয়েছে। জোসেফাইন অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
পল ভ্যান মেলে
ওয়্যাগেনিগেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করা একজন কৃষিবিজ্ঞানী। দক্ষিণ গোলার্ধজুড়ে ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে পল কৃষিবিষয়ক ‘রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন। ‘কৃষক-থেকে-কৃষক’ প্রশিক্ষণ ভিডিও নির্মাণ, ভিডিও থেকে সৃষ্ট শিখনসমূহের সমন্বিত গবেষণা ও সেগুলোর বিস্তারে পল অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১০ সালে তিনি তাঁর নিজস্ব এন্টারপ্রাইজ ‘সিজিআইএআর’-এর ‘প্রোগ্রাম লিডার লার্নিং অ্যান্ড ইনোভেশন সিস্টেম’ পদে কাজ শুরু করেন। ২০১২ সালে পল তার কাজের প্রভাব আরও বিস্তৃত করতে অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের কো-ফাউন্ডার হিসেবে কাজ শুরু করেন।
ইভানা রহমান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘এমবিএ’ এবং ‘ইলেক্ট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক’ এঞ্জিনিয়ারিং-এ বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি আট বছর ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায় উন্নয়ন ও কমিউনিকেশন বিষয়ে কাজ করছেন। অ্যাকসেস অ্যাগ্রিকালচার-এ যোগদানের আগে তিনি এনজিও ব্র্যাক-এ বাজার জরিপ, ব্র্যান্ড ব্যবস্থাপনা, মিডিয়া ক্যাম্পেইন, নলেজ ম্যানেজমেন্ট এবং ভোক্তা যোগাযোগ [ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট] নিয়ে কাজ করেছেন। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ও গ্রাফিক্স সফ্টঅয়্যার বিষয়ে ইভানার ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে।

জোনাস ওয়ানভোক
একজন গ্রামীণ উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ। তিনি বেনিন-এর এবোমি-কালাভি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিবিজ্ঞানে পড়ালেখা করেন এবং নেদারল্যান্ডস-এর ওয়্যাগেনিগেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, এনজিও এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে কৃষিসম্প্রসারণ ও রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট [আর অ্যান্ড ডি]-এর কাজ করেন। তিনি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে কাজ করেছেন যেগুলো গ্রাম পর্যায়ে কৃষি উদ্ভাবন ও উন্নয়নে সহযোগিতা করে। এ ছাড়াও গত দশকে তিনি আফ্রিকার ‘কৃষক থেকে কৃষক’ ভিডিওগুলোর ব্যাপক প্রচারে ব্যাপকভাবে যুক্ত ছিলেন।

লরা তাবেট
কানাডার ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেরিন ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি ছোট আকারের জেলে এবং জেলেদের সম্প্রসারণ সম্পর্কে উত্সাহী। লারা মিশরের ঘোধিধুধ এনজিওর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এনজিওটি পরিবেশগত কৃষি এবং সেখানকার traditionalতিহ্যবাহী খাবার সংরক্ষণে কাজ করে। লারা ২৮ বছর ধরে 'কৃষক থেকে কৃষক' প্রশিক্ষণের ভিডিও তৈরিতে জড়িত এবং এটি মিশরের অ্যাক্সেস এগ্রিকালচারের মূল কেন্দ্র। তিনি উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্য প্রাচ্যে আরবি, ফরাসী এবং ইংরেজি-ভাষী শ্রোতাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে আগ্রহী।

ব্লেসিংস ফ্লাও
মালাউইয়ের চ্যান্সেলর কলেজ বিশ^বিদ্যালয় থেকে ‘মিডিয়া ফর ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ে স্নাতক। তিনি সরকারি সংস্থার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক এনজিও-তে কৃষি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার যোগাযোগ সমন্বয় করেছিলেন। উন্নয়নের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি [আইসিটিফরডি] এবং উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ [সিফরডি] বিষয়ে ব্লেসিংসের ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি যোগাযোগের ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়নোর পাশাপাশি নানাধরনের স্টেকহোল্ডারদের সাথে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন।

নাফিসসাত ফুসেনি বারস
লেগন-এর ঘানা বিশ্ববিদ্যারয় থেকে কৃষি ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স অফ ফিলোসফি ডিগ্রি লাভ করেন। এর আগে তিনি ‘কটোনৌ’-এর বেনিন ইউনিভার্সিটি ইউনিট-এর ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্ট আফ্রিকা থেকে কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ‘রুরাল অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল ভেঞ্চার ম্যানেজমেন্ট’ মেজর নিয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি দুটি ভাষায় স্ব-উদ্যোগী একজন কৃষিবিদ্যার গ্র্যাজুয়েট। তিনি পাঁচ বছর ধরে পুরো পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন জাতীয় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা, মার্কেট ইনফরমেশন সিস্টেম ও মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন-এর কাজ করছেন।

কেভিন মুতোঙ্গা
কেনিয়ার এজেরটন বিশ্ববিদ্যালয় ও ‘সিআইএসসিও নেটওয়ার্কিং মডিউলস ইন ট্রাকম কলেজ’-এ ‘ব্যবস্থাপনা বিজ্ঞান’-এ মেজর নিয়ে পড়ালেখা করেন। তিনি আদ্দিস আবাবা ইউনিভার্সিটিতে অ্যাগ্রিকালচার ফ্যাকাল্টি হিসেবে কাজ করেন। কেবিন কৃষকদের জন্য টেকনিক্যাল ট্রেনিং-সমূহের আঞ্চলিক ভাষায় অনুবাদের কজগুলো সমন্বয় করেন। এ ছাড়া, অ্যাকসেস অ্যাগ্রিকালচার পরিচালিত কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণসমূহেও সহায়তা করেন। ভিজুয়াল ও ডিজাইন প্রসেস-এ সৃষ্টিশীলতার কাজে কেবিন-এর ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।

অলিভিএর জিবিটান
বেনিন এর ইন্সটিটিউট অফ মিডিয়া অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট থেকে ‘মিডিয়া টেকনিশিয়ান’ হিসেবে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিপ্লোমা করেন। তিনি বেনিন-এর সোংহাই সেন্টারে ভিডিও এডিটর হিসেবে তিন বছর কাজ করেন। অলিভার, পশ্চিম এবং মধ্য-আফ্রিকায় ভিডিওসমূহ আঞ্চলিক ভাষায় অনুবাদের কাজে সহায়তা ও সমন্বয় করে থাকেন, এবং অ্যাকসেস অ্যাগ্রিকালচারের পার্টনারদের ‘কৃষক থেকে কৃষক প্রশিক্ষণ ভিডিও’ নির্মাণে সহায়তা করেন। ভিডিওর মাধ্যমে ‘কৃষির ভালো চর্চা’সমূহের প্রচারের ব্যাপারে তিনি বিশেষভাবে আগ্রহী।

ভিনজেরু নাইরেন্দা
ভিনজেরু মালাউই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাকুয়াকালচার এবং ফিশারি বিজ্ঞানে বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি জার্মানির ওয়েইনস্টেফেন ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপলায়েড সায়েন্স থেকে ফুডভ্যালু চেইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর সনদ লাভ করেন। তিনি কৃষক, উদ্যেক্তা, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং এসএমই বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি খাতে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। তিনি জিআইজেড, ইউএসআইডি, ডিএফআইডি-এর অর্থায়নে পরিচালিত এবং নানাবিধ সরকারি প্রকল্পে কাজ করেছেন। ভিনরুজ উদ্যোক্তাদের তাদের সম্ভাবনা উপলবদ্ধি করতে এবং নিজেদের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও অভীষ্ট অর্জনে কঠোর পরিশ্রম করতে এবং সংকল্পে দৃঢ় থাকতে সহায়তা প্রদান করার জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে চলেছেন।

জসোয়ালদো সেমিদো
জসোয়ালদো সেমিদো ভেনিজুয়েলার মারাকাইবো বিশ^বিদ্যালয়ের টেকনোলজি ইন্সটিটিউট থেকে এগ্রোইকোলজি-কে প্রাধন বিষয় হিহেবে নিয়ে কৃষি-খাদ্য প্রকৌশলে ¯œাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি গিনি বিসাউ-তে ফিরে আসার পর থেকে জাতীয়-পর্যায়ে আফ্রিকান ইয়থ অন লাইভস্টক ফিশারিজ একুয়াকালচার ইনকিউবেটর নেটওয়ার্ক (এওয়াইএল-এফএআইএন)-এর সভাপতি ছিলেন। অ্যাকসেস এগ্রিকালচারে যোগ দেওয়ার আগে জসোয়ালদো গিনি বিসাউ-তে গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের প্রচারের জন্য আরইপিইপিএ-জিবি (ইনকিউবেশন নেটওয়ার্ক, প্রোমোশন অব এন্টারপ্রেনর অ্যান্ড এগ্রিকালচার প্রোডিউচার্স ইন গিনি-বিসাউ)-র সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেন।

এজরা মোসালাকি
এজরা মোসালাকি উগান্ডার কাম্পালার মেকেরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি ও গ্রামীণ উদ্ভাবন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ভারতের হাদ্রাবাদের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব রুরাল ডেভেলপমেন্ট থেকে গ্রামীণ কর্মসংস্থান বিষয়ে একটি কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি ওয়ার্ল্ড এগ্রোফরেস্ট্রি এবং ট্রিস ফর দ্য ফিউচার-এ কৃষি সম্প্রসারণ বিষয়ে পাঁচ বছর কাজ করেছেন। ২০১৮ সালে তিনি ‘ট্রি রিসোর্স এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি সমাজিক উদ্যোগ প্রতিষ্ঠা করেন। এই উদ্যেগটি ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইন্সটিটিউটের স্বীকৃতি লাভ করে।

কারিন রাকোটোনিয়ানসোয়া
কারিন রাকোটোনিয়ানসোয়ার মাদাগাস্কার আন্তানানারিভো বিশ^বিদ্যালয় থেকে ¯œাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। একজন উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি এগ্রোইকোলজির প্রতি দারুণ অনুরাগী এবং কৃষকদের অবস্থার উন্নয়নে কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। অ্যাকসেস এগ্রিকালচারে যুক্ত হওয়ার আগে তিনি তিন বছর ধরে মালাগাছি পাহাড়ি অঞ্চলে প্রত্যন্ত এলাকার একটি জনগোষ্ঠীর সাথে কাজ করেছেন। সেখানে তিনি টেকসই কৃষি এবং কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য ভালো বাজার খোঁজার কাজ করেছেন।

মৌনিকা লিঙ্গিরেড্ডি
মৌনিকা লিঙ্গিরেড্ডি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের আচার্য এনজি রাঙ্গা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়(এএনজিআরএইউ) থেকে কৃষি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। অ্যাকসেস এগ্রিকালচারে যোগদান করার আগে তিনি কৃষকদের প্রাকৃতিক চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করতে চার বছর ধরে নানাভাবে করেছেন, যার মধ্যে কৃষক ফিল্ড স্কুল (এফএফএস), প্রাকৃতিক উপায়ে চাষাবাদ করা, প্রাকৃতিক কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা উল্লেখযোগ্য।

পাক্কি নন্দিনি
পাক্কি নন্দিনি ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশনাল অ্যান্ড রিচার্স ইন্সটিটিউট থেকে কৃষি, গ্রামীণ ও উপজাতি উন্নয়নে স্নাতক এবং স্নাতককোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি পুনরুৎপাদনশীল কৃষি-প্রকল্প-সহ বিভিন্ন এনজিও-র সাথে কাজ করেছেন। তিনি ইকোলজিকাল কৃষি বিষয়ে দারুণ আগ্রহী এবং সবুজ ও স্বাস্থ্যকর পৃথিবী গড়ে তুলতে সত্যিকার অর্থেই অবদান রাখতে চান।

রামা ভেঙ্কাত্রামা্ন
ভারতের মাদুরাই থেকে কমুজার বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে বিএ এবং ভারতের হায়দ্রাবাদ থেকে বিদ্যা ভবনে সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট এবং বিজনেস ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা লাভ করেন। সৃজনশীল এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার এক অনন্য মিশ্রণের সাথে, রামানের ওয়েব ডিজাইন, ভিডিও এবং অডিও প্রডাকশন, ফটোগ্রাফি, মুদ্রণ এবং ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে বহুমুখী দক্ষতা রয়েছে। তিনি আফ্রিকা রাইসে ওয়েবমাস্টার (2002-2013) এবং মাল্টিমিডিয়া ডিজাইনার (2014-2019) ছিলেন। তিনি বর্তমান ডিজিটাল এবং সামাজিক মিডিয়া সরঞ্জাম এবং কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সহ সফ্টওয়্যার প্যাকেজগুলিতে দক্ষ।

কান্নাপান সোর্নানাথন
কান্নাপান একজন ইলেকট্রনিক্স এবং যোগাযোগ প্রকৌশলী যার কৃষি প্রকৌশল ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা রয়েছে। ৮ বছর ধরে এম এস স্বামীনাথন রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সহযোগী বিজ্ঞানী ছিলেন। কান্নাপান অ্যাকসেস এগ্রিকালচারে আইসিটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন এবং আইআইটি মাদ্রাজ-এ স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম (গবেষণার মাধ্যমে) অনুসরণ করছেন।

মার্সেলা ভ্রোলিক্স
বেলজিয়ামের হাসেল্টে আর্টস একাডেমি থেকে গ্রাফিক ডিজাইনে এমএ করেছেন, পরে তিনি ভিডিও প্রযোজনায় আরও দক্ষতা অর্জন করেছেন। মার্সেলা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির জন্য অসংখ্য উচ্চমানের পুরষ্কারপ্রাপ্ত কৃষক থেকে কৃষকের ভিডিও তৈরি করেছে। ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি স্থানীয় কৃষকদের জন্য উন্নতমানের ভিডিও তৈরির প্রশিক্ষণে জড়িত ছিলেন। মার্সেলা তার ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিম আফ্রিকা, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কাজ করেছেন।

সাভিত্রী মহাপাত্র
ভারতের জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফরাসী ভাষায় এমএ করেছেন এবং ভারতীয় বিদ্যা ভবন থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা করেছেন। সাবিত্রি কৌশলগত কমুইনিকেশন, স্টেকহোল্ডারদের পরিচালনা, বিজ্ঞানে লেখালেখি, গল্প বলার এবং আফ্রিকা ও ভারত জুড়ে উন্নয়নের জন্য কৃষি গবেষণার সম্পর্কিত বিষয়বস্তু বিকাশে ২৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০২ পর্যন্ত আইসিআরএসএটি-তে জনসচেতনতায় অবদান রেখেছিলেন এবং ২০০২ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত আফ্রিকা রাইসে কৌশলগত যোগাযোগের নেতৃত্ব দেন। সাবিত্রী স্থায়ী কৃষি, খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, জেন্ডার সচেতনতা এবং কৃষকের ক্ষমতায়নে আগ্রহী।

ফিল মেলন
একজন জিওগ্রাফার এবং বিবিসি রেডিও-র একজন প্রাক্তন ব্রডকাস্টার। প্রায় ৩৫ বছরের উপরে তিনি প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার ঊর্ধতন সরকারি কর্মকর্তাদের কমিউনিকেশনস বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। কমিউনিকেশনকে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে তিনি বিভিন্ন শিল্পকারখানার পেশাদারদের সাথে কাজ করেছেন। ফিল তার কৃষি, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও গ্রামীণ উন্নয়নের কমিউনিকেশন কৌশল তৈরিতে সহায়তা করার বিশেষজ্ঞ-জ্ঞান অ্যাকসেস অ্যাগ্রিকালচার-এ প্রয়োগ করে থাকেন। তিনি এ প্রতিষ্ঠানের একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতাও বটে।

জুডি মুটুরি
অ্যাকসেস অ্যাগ্রিকালচারের ফাইন্যান্স দেখাভালের কাজ করেন। নাইরোবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমার্স [অ্যাকাউন্টিং অপশন] নিয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি করার পাশাপাশি তাঁর কেনিয়ার বিভিন্ন অগ্রগামী ব্যাংক-এর সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমানে তিনি একটি ছোটো প্রতিষ্ঠানের অংশ হিসেবে কাজ করার চ্যালেঞ্জ-সমূহ উপভোগ করছেন, কিন্তু তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যাতে অ্যাকসেস অ্যাগ্রিকালচার-এর উদ্যোগসমূহ কৃষকদের সহায়তায় আসে। জুডি তার নিয়ন্ত্রণে একইসাথে নাইরোবি অফিসের কার্যক্রমও পরিচালনা করেন।

রিচার্ড এনডিব্যরু
ফাইন্যান্স ও প্রশাসনের সকল কাজে জুডি মুটুরিকে সহায়তা করেন। তিনি নাইরোবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও গণিতে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন, এবং ‘সার্টিফায়েড পাবলিক এ্যাকাউন্টস’ [সিপিএ] নিয়ে পড়ালেখা করেন। অ্যাকসেস অ্যাগ্রিকালচার-এ যোগদানের আগে তিনি বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টস ও প্রশাসন বিভাগে কাজ করেন।

ইনাগনন জযি
বেনিন এর এবোমি-কালাভি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সেক্টরে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। কৃষিতে আগ্রহী হওয়ায় তিনি অর্গানিক ও ইকোলজিক্যাল অ্যগ্রিকালচার, হিউম্যান নিউট্রিশন ও ফ্যামিলি অ্যাগ্রিকালচার বিষয়ে বিভিন্ন কনফারেন্সে অংশ নিয়েছেন। ইনাগনন বেনিন-এর কোটোনৌ-তে অবস্থিত ওয়েস্ট অ্যান্ড সেন্ট্রাল অফ্রিকার আঞ্চলিক অফিসের অ্যাকাউন্টিং ও প্রশাসন-ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেন।