স্থানীয় ব্যবহার

একটি ভিডিও-তে কাল্পনিক গল্প ও প্রশিক্ষণ বার্তাগুলোর সন্নিবেশ পুনরায় বিবেচনার দাবি রাখে।

‘আপনার দেখা শেষ হলে আমি কীভাবে ভিডিওটি দেখতে পাবো ?’

আমি শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ প্রযুক্তি শেখাতাম তাই কৃষকদের জন্য ভিডিও তৈরি করার মতো শিক্ষার্থী পাওয়া সহজ ছিল। 

 বাড়িতে, বোকো তার ভিডিওগুলো দেখার জন্য রাত আটটার দিকে টিভি কিনে আনে। / টিভি বের করে আনে।

কৃষকদের এখন নতুন তথ্য প্রয়োজন, যে সমস্যাগুলো প্রতিদিন তাদের উপর প্রভাব বিস্তার করে সেগুলোর সমাধান কীভাবে করা যায় এবং কৃষিকাজের নতুন নতুন অনুশীলনগুলো কীভাবে আয়ত্তে আনা যায়।

 বাগান্দা একটি গর্বিত জাতি, এবং কেউ কেউ হয়ত স্বীকার করতে চায় না যে, তারা প্রতিটি কথার অর্থ বোঝে না।

রাজ্যটি সম্প্রসারণ বন্ধ করে দেওয়ায় এবং বেসরকারি খাত শূন্যস্থানের কিছুটা পূরণ করায় এখন কৃষকদের কাছে জিজ্ঞাসা করার সময় এসেছে যে, তারা সম্প্রসারণের জন্য অর্থ খরচ করতে রাজি আছে কি না। 

যদি কৃষকেরা শিখন ভিডিওগুলোর জন্য নিজে থেকেই অর্থ খরচ করতে রাজি হন তাহলে ডিভিডি বিতরণ নিজে নিজেই টেকসই হয়ে উঠতে পারে।

ভিডিওগুলো কোনো কমিউনিটির কোনো বিশেষ ব্যক্তির প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট নয়। তাই আমি চেষ্টা করতে এবং বুঝতে শুরু করেছি যে, কৃষকেরা কীভাবে ভিডিওগুলো গ্রহণ করেন। 

প্রশিক্ষণ ভিডিওগুলোকে স্থান করে দেওয়ার জন্য দাতা কর্মসূচিগুলোকে তাদের যোগাযোগ ও প্রকাশনা কার্যক্রমগুলোর পুনর্বিন্যাস করতে হবে।  

কৃষকেরা যদি এই বার্তাটি গ্রহণ করে এবং এটি মনে রাখে তবে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ভিডিওগুলো একটি সফলতা।

‘আমি যদি মটরযুক্ত তিন চাকার একটি ভ্যান গাড়ির উপরে কিছু ‘সেট বক্স’ যুক্ত করতে পারি তবে আমি ভিডিও দেখানোর সরঞ্জামাদি গ্রামাঞ্চালে নিয়ে যেতে এটি ব্যবহার করতে পারি... ’

কৃষি প্রশিক্ষণ ভিডিও দেখতে যতটা সুন্দর দেখায় তা তৈরি করা তার চেয়ে অনেক কঠিন। এটি নির্মাণে অনেক সময় লাগে এবং প্রচুর লোককে জড়িত করতে হয়।   

আমরা আমাদের ভিডিও ভ্যানটি পছন্দ করেছিলাম, তবে দৃশ্যত এটি যথেষ্ট ছিল না। কৃষকেরা তাদের কৃষিকাজের ভিডিওগুলোর নিজস্ব কপিগুলো পেয়েছেন তা নিশ্চিত করার জন্য নতুন উপায় সম্পর্কে আমাদের চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন।

শুরুতেই যদি আমি কৃষক থেকে কৃষক প্রশিক্ষণ ডিভিডি দিতাম তাহলে সম্ভবত আমি এই পরিস্থিতি এড়াতে পারতাম।

‘তোমিনিয়ান কৃষক ইউনিয়ন’ যেখানেই ভিডিওগুলোর প্রচার করেছে সেখানেই স্ট্রিগার উৎপাটন একটি জনপ্রিয় ও প্রশংসিত কাজে পরিণত হয়েছে। 

বৈশ্বিক ভিডিও উদ্ভাবনের জন্ম দেওয়া বাংলাদেশের জন্য সহজ অংশ ছিল। তবে স্পষ্টতই এদেশে এই প্রচেষ্টা ধরে রাখার জন্য আরো বেশি উদ্যোমের প্রয়োজন ছিল।    

ভিডিওগুলো শিক্ষার্থী কৃষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এই কারণে আমরা সংহাই-তে প্রশিক্ষণের মধ্যে ভিডিও সেশনগুলো যুক্ত করি।   

 ভিডিওটির জন্য ধন্যবাদ, দলটি যে কেবল শুনেছে তা নয়, তারা সয়া-পনির নির্মাণের কৌশলগুলোও দেখে নিয়েছে ।

আমি যখন কৃষক থেকে কৃষক ভিডিওগুলো নির্মাণ করতে শুরু করি তখন থেকে আমার কেরিয়ার একটি নতুন আকর্ষণীয় দিকে মোড় নেয়। আমি ধীরে ধীরে একজন কৃষক হয়ে উঠছি। 

ভিডিওগুলো যথেষ্ট ভালো এবং যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক হলে টিভি, ডিভিডি প্লেয়ার ও বিদ্যুতের সমস্যা অতিক্রম করে কৃষকেরা সেগুলো দেখার জন্য সংগঠিত হতে উদ্বুদ্ধ হন।

কৃষকেরা তাদের বসার স্থান এবং দিনের সময় সম্পর্কে অন্য যে কারো মতোই সংবেদনশীল। একটি ভিডিও দেখে লোকেরা কতটা ভালো শিখতে পারে তা নির্ভর করে তারা কোথায়, কখন এবং কীভাবে ভিডিওটি দেখছেন তার উপর।   

ফার্ম রেডিও ট্রাস্ট বিদ্যমান রেডিও শ্রোতা ক্লাবগুলোকে ভিডিও দেখার ক্লাব ও তথ্যকেন্দ্রে পরিণত করেছে, যেখানে কৃষকেরা নিয়মিত মিলিত হয়ে কৃষিকাজের আইডিয়া শেয়ার করতে পারে এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে পারে।  

তথ্যের প্রবেশ কৃষকদের খাদ্য সুরক্ষা বাড়াতে এবং উন্নত জীবিকার বিষয়ে সুবিবেচিত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। 

একটি ল্যাপটপ ব্যবহার করে আমরা প্রতিমাসে ১০টি প্রদর্শনী বাড়াতে পেরেছি এবং বিষয়বস্তু ব্যাখ্যা করতে গিয়েও পুনরায় প্রদর্শন করতে পেরেছি।

অ্যালিস মাটাইরা একজন দুগ্ধ খামারি এবং মালাউইয়ের ব্ল্যন্টায়ারে এমপেম্বা বাল্কিং দলের সচিব। এই দলটির প্রোফাইল তুলে ধরতে তিনি দারুণ অবদান রেখেছেন।

হাসি মুখে লুসিয়া বলে, মরিচ উৎপাদন শুরু করার পর আমি বুঝতে পারি যে, এটি একটি লাভজনক শস্য, যেমন এবছর আমি প্রতি কেজি মরিচ ২৫০০  কোয়াচায় [মালাউইয়ের মুদ্রা] বিক্রি করেছিলাম এবং প্রচুর টাকা আয় করেছিলাম।” বিষয়গুলো লুসিয়ার জন্য সবসময় এমন আশাব্যঞ্জক ছিল না।