<<90000000>> দর্শক
<<240>> উদ্যোক্তা 17টি দেশে
<<4135>> টি কৃষিবাস্তুবিদ্যা ভিডিও
<<105>> ভাষা উপলব্ধ

তরুণ পরিবর্তনকারীরা ভিডিও ব্যবহার করে এগ্রোইকোলজিতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন

Young changemakers


অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ২৫-এ এপ্রিল ২০২৪ তাদের নতুন বই “ইয়াং চেঞ্জমেকার”- প্রকাশের ঘোষণা দিতে পেরে দারুণ আনন্দিত। বইটিতে আফ্রিকা ও ভারতের ৪২টি অনুপ্রেরণাদায়ী দলের তরুণদের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে প্রচুর বিচিত্র পরিপ্রেক্ষিত ও ইনসাইট তুলে ধরা হয়েছে। এই তরুণেরা সম্প্রসারণ এবং উপদেশনামূলক পরিষেবাপ্রদানকারী হিসেবে কৃষক-থেকে-কৃষক শিখন ভিডিওর মাধ্যমে এগ্রোইকোলজির প্রচারের জ¦লজ¦লে ধারা অব্যাহত রেখেছেন।

বইটিতে উপস্থাপিত প্রতিটি আকর্ষণীয় গল্পে কীভাবে তরুণেরা পরিবর্তন আনতে পারে এবং আরও স্থিতিস্থাপক খাদ্যব্যবস্থায় অবদান রাখে এমন টেকসই কাজ তৈরি করতে পারে সে সম্পর্কে নতুন নতুন ধারণার জন্ম দেয়।  

গল্পগুলো শুধুমাত্র এগ্রোইকোলজি, এবং টেকসই কৃষিচর্চার প্রচারে তরুণ পরিবর্তনকারীদের আবেগ, অনুপ্রেরণা, সৃজনশীলতা এবং প্রতিশ্রুতিই প্রকাশ করে না, বরং তাদের চ্যালেঞ্জগুলোকে সুযোগে পরিণত করার ক্ষমতাও প্রকাশ করে। এই বইয়ে প্রকাশিত সফলতার গল্পগুলো এটাই প্রমাণ করে যে, তাদের জনগোষ্ঠীতে তারা বেশ প্রভাব বিস্তারি ভূমিকা পালন করেন।

বইয়ের ভূমিকায় এফএও কৃষিকর্মকর্তা (এগ্রোইকোলজি ও বাস্তুসংস্থান পরিষেবা) পিয়েরে ফেরান্ড লিখেছেন,  “যেহেতু আমরা এই তরুণ পরিবর্তনকারীদের কৃতিত্ব উদ্যাপন করি, তাদের সমর্থন ও লালনপালনে অ্যাকসেস এগ্রিকালচার যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা স্বীকার করা অপরিহার্য। অ্যাকসেস এগ্রিকালচার তার উদ্ভাবনী ‘লাস্ট মাইল ডেলিভারি’ মডেলের মাধ্যমে খাদ্য ব্যবস্থাকে রূপান্তরিত করতে গ্রামীণ তরুণদের ক্ষমতায়নে অগ্রভাগে রয়েছে।”

অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ২০১৯ সাল থেকে ভারত মহাদেশ ও আফ্রিকার ১৭টি দেশে তরুণ উদ্যোক্তা (ইআরএ)-দের ১২০টিরও অধিক দলকে ক্ষমতায়ন করেছে। এর কোচিং এবং সহায়তা ইআরএ-দের প্রচেষ্টা সফল হওয়ার পেছনে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। এই ইআরএ-দের একটি সৌর-চালিত স্মার্ট প্রজক্টর দিয়ে ডিজিটালি সমৃদ্ধ করা হয়েছে, এই প্রজেক্টরে ১০০টিরও বেশি ভাষায় ২৭০টিরও বেশি ভিডিও-র একটি বিশাল লাইব্রেরি রয়েছেÑ যা তাদের কৃষকসমাজের কাছে কৃষিকাজের চর্চা-বিষয়ে জ্ঞান বিতরণে সক্ষম করে তুলেছে।

অ্যাকসেস এগ্রিকালচার-এর আন্তর্জাতিক বিষয়ের পরিচালক এবং প্রধান লেখক পল ভ্যান মেলে বলেছেন, “প্রচলিত উন্নয়ন কাজের ধারার বাইরে বেরিয়ে চিন্তা করার জন্য এই গতিশীল পরিবর্তনকারীদের দক্ষতা, অ্যাকসেস এগ্রিকালচার-এর মানসম্পন্ন ভিডিওর সমৃদ্ধ লাইব্রেরির সাথে একীভূত, এগুলোতে দেখানো হয়েছে যে, কীভাবে তরুণেরা একটি কার্যকর এবং সাশ্রয়ী উপায়ে মূলধারার এগ্রোইকোলজি-কে সহায়তা করতে পারে।”

স্কুল, গ্রামীণ ক্লিনিক, যুব-ক্লাব, কৃষক-সংগঠন এবং উদ্বাস্তু শিবিরগুলোকে লক্ষ্য করে ইআরএ-রা তাদের পরিষেবা প্রদান করেন, বইটিতে উপস্থাপিত ইআরএ দলগুলো প্রায় (২০০,০০০) দুই লক্ষ লোকের কাছে কৃষি-প্রশিক্ষণ ভিডিওগুলো প্রদর্শন করেছে, যার মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ ৩৫ বছরের কম বয়সী। ভিডিওগুলো তরুণ, নারী ও পুরুষ কৃষকদের নানাভাবে অনুপ্রাণিত করেছে, যার ফলে তাদের স্থানীয় খাদ্যব্যবস্থায় তাদের অংশগ্রহণে পরিবর্তন আসে। তারা স্বাস্থ্যকর এবং আরও স্থিতিস্থাপক খাদ্যব্যবস্থায় অবদান রেখে নতুন আয়-উপাদনমূলক কার্যক্রম শুরু করতে নারী ও তরুণদের অনুপ্রাণিত করেছেন।

ড. ভ্যান মেলে বলেন, “বইয়ের গল্পগুলো প্রকাশ করে যে, এই ইআরএ-দের কাজের প্রভাব কৃষিচর্চার বাইরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সংরক্ষণের মতো ক্ষেত্রগুলোতেও বিস্তৃত।” তিনি আরও বলেন, “অনেক ইআরএ পরামর্শমূলক পরিষেবাগুলোকে সমন্বিত করে ; যেমন, এগ্রোইকোলজিকাল খামার ইনপুট উপাদন ও বিক্রি করা, খাদ্য-প্রক্রিয়াকরণ উদ্যোগ স্থাপন করা, বা স্থানীয় বাজারে বিক্রয়কেন্দ্র তৈরি করা। বেশ কয়েকজন ইআরএ সামাজিক ও পরিবেশগত সেবাও প্রদান করেন।”

ভিডিও-মধ্যস্থতা শেখার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ইআরএ-বৃন্দ দুর্বল জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন তাদের জ্ঞান প্রদান করে, দক্ষতা ও জীবনমান উন্নত করে। এই বইটি তরুণ ব্যক্তিদের স্থিতিস্থাপকতা, আত্মনিবেদন এবং উদ্ভাবনী চেতনার প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপিত, তারা শুধুমাত্র এগ্রোইকোলজি-কেই গ্রহণ করেননি, বরং তাদের জনগোষ্ঠীর ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য অনুঘটক হয়ে উঠেছেন। তারা সকলের জন্য আরও টেকসই এবং স্থিতিস্থাপক ভবিষ্য বিনির্মাণে অবদান রাখছেন।

ইয়াং চেঞ্জমেকারেরা উচ্চাকাক্সক্ষী এবং বিদ্যমান- উভয় ধরনের কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য মূল্যবান ‘টেকওয়ে’ প্রদান করে এবং যারা কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থায় অর্থপূর্ণ পরিবর্তন আনতে ডিজিটালি সমৃদ্ধ সম্প্রসারণ ও উপদেশনামূলক পরিষেবা প্রদানকারীদের এই অনন্য মডেলটিকে সমর্থন ও সম্প্রসারণ করতে চান, তাদের সকলের মাঝে একই প্রতিধ্বনি তুলবে।

বইটির একটি ই-সংস্করণ অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ওয়েবসাইট www.accessagriculture.org/our-young-entrepreneurs. থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যেতে পারে।

ভারতজুড়ে তরুণ উদ্যোক্তাদের অতিরিক্ত দল নিযুক্ত করতে অ্যাকসেস এগ্রিকালচারকে সহযোগিতা করার জন্য আপনি এই কিউআর (QR) কোড স্ক্যান করে এর গণ-অর্থায়নের প্রচারণায় সহযোগিতা করতে পারেন।

donate

আরও তথ্যের জন্য পল ভ্যান মেলের সাথে যোগাযোগ করুন : paul@accessagriculture.org

আপনি কিভাবে সাহায্য করতে পারেন.. আপনার উদার সাহায্য আমাদের ক্ষুদ্র কৃষকদের কৃষি পরামর্শের জন্য তাদের ভাষায় আরও ভালভাবে পৌঁছাতে সক্ষম করবে।.

Latest News

তরুণ পরিবর্তনকারীরা ভিডিও ব্যবহার করে এগ্রোইকোলজিতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন

অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ২৫-এ এপ্রিল ২০২৪ তাদের নতুন বই “ইয়াং চেঞ্জমেকার”- প্রকাশের ঘোষণা দিতে পেরে দারুণ আনন্দিত। বইটিতে আফ্রিকা ও ভারতের ৪২টি

অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের আরবি ভাষার প্ল্যাটফর্মের সূচনা : একটি উত্তেজনাকর মাইলফলক

অ্যাকসেস এগ্রিকালচার আনন্দের সাথে ঘোষণা করছে যে, তারা আরবিভাষীদের জন্য আরবি ভাষার প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। এতে করে বহু আরবিভাষীর কাছে পৌঁছানো যাবে

অ্যাকসেস এগ্রিকালচার-এর নতুন ওয়েবসাইটে স্বাগত

কৃষিবিদ্যা এবং জৈবচাষাবাদের ওপর কৃষক প্রশিক্ষণ ভিডিওর বিশ্বের বৃহত্তম বহুভাষিক লাইবেরি অন্বেষণ করুন ব্রাসেলস, বেলজিয়াম — অ্যাকসেস এগ্রিকালচার তাদের

মিশরে অগ্রগামী কাজের জন্য অ্যাকসেস এগ্রিকালচার প্রশংসিত

সিজিআইআর, একটি বৈশ্বিক কৃষি-গবেষণা নেটওয়ার্ক, এর নির্বাহী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডক্টর ইসমাহানে ইলাউফি মিশরের প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলে নারী ও তরুণ শ্রেণিসহ কৃষকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

সাম্প্রতিক ভিডিও

আমাদের স্পনসরদের ধন্যবাদ