২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি ২০২৩ ভারতের বেঙ্গালুরে অনুষ্ঠিত অন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের প্যাভেলিয়ন ছিল ‘ইন্টারন্যাশনাল প্যাভেলিয়ন অব মিলেটস অ্যান্ড অরগানিক্স’ বিষয়ক। প্যাভেলিয়নটি তিন হাজারেরও বেশি দর্শকের দৃষ্টি আকৃষ্ট করে।
অ্যাকেসেস এগ্রিকালচারের বুথটি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রী, কৃষক, সম্প্রসারণ এজেন্ট, বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ছাত্র, বিজ্ঞানী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, জৈব শাখার (সেক্টর) সাথে জড়িত বেসরকারি সংস্থা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমকর্মী, স্কুলের ছাত্র এবং সাধারণ জনগণের দ্বারা অনুপ্রেরণা লাভ করে।
প্যাভেলিয়ন প্ররিদর্শন করে ইন্টারন্যশনাল কম্পিটেন্স সেন্টার ফর অরগানিক এগ্রিকালচার (আইসিসিওএ) বোর্ডের সভাপতি দোরায়রাজ কুপ্পুরাঙ্গাম বলেন, “অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের ডিজিটাল অ্যাডভাইজারি সরঞ্জাম-এর শেষপ্রান্তে পৌঁছানো (লাস্ট মাইল ডেলিভারি) মডেলের সঙ্গে সমন্বয় আমার দেখা সেরা উদ্ভাবনীগুলোর মধ্যে একটি। বিপুলসংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছানোর এটিই একমাত্র উপায় এবং এর মাধ্যমে আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের কৃষিকাজকে জৈবচাষে রূপান্তর করতে সহায়তা করতে পারি।” বাণিজ্য মেলাটির আয়োজন করে কর্নাটক সরকার এবং এর জ্ঞান অংশীদার হিসেবে কাজ করে আইসিসিওএ।
দর্শনার্থীরা অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের মিশন এবং কৃষক-প্রশিক্ষণ জ্ঞান সম্পদের (নলেজ নিসোর্স) পরিসর ও গুণমানের ভূয়সী প্রশংসা করেন ; যেমন স্থানীয় ভাষার ভিডিওসমূহ। তারা স্মার্ট প্রজক্টর ও ইকোএগটিউব প্ল্যাটফর্মের প্রশংসা করেন এবং ভারতে অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের কর্মসূচি এবং কর্নাটক ও ভারতের অন্যান্য যে-সকল রাজ্যে অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের কর্যক্রম নেই সে-সকল রাজ্যে কার্যক্রমের জন্য এর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তাদের মধ্যে কেউ কেউ জানতে চান যে, কীভাবে সংগঠনটি ঝুঁকিতে থাকা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর, বিশেষ করে নারী কৃষক সমিতির ক্ষমতায়নে এবং এর পাশাপাশি জৈবপণ্যের বিপণনে সহায়তা করতে পারে।
আইসিসিওএ-এর নির্বাহী পরিচালক মনোজ কুমার মেনন অ্যাকসেস এগ্রিকালচারকে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাণিজ্য মেলায় অংশ নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানান। অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের যে দলটি বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ করে তার নেতৃত্বে ছিলেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জোসেফিন রজার্স, তাঁর সাথে দলে আরও ছিলেন সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফিল ম্যালোন এবং ভারতভিত্তিক তিনজন সদস্য।
বাণিজ্য মেলার আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জোসেফিন ‘উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে জৈব ও পরিবেশগত চাষের স্কেলিং’ (স্কেলিং অরগানিক অ্যান্ড ইকোলজিক্যাল ফার্মিং থ্রো এন্টাপ্রেনার্স) বিষয়ক একটি উপস্থাপনা করেন। মেলায় আগত দর্শক উপস্থাপনাটির দারুণ প্রশংসা করেন।
ভারত মিলেটসের গুরুত্বের স্বীকৃতির জন্য আন্তর্জাতিকমহলে শক্তিশালী চাপ সৃষ্টি করেছে এবং জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদ ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক মিলেটস বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তিনদিনব্যাপী ইভেন্টের একটি প্রধান কেন্দ্রবিন্দু (ফোকাস) ছিল উৎকৃষ্ট খাদ্য (সুপার ফুড) হিসেবে মিলেটসের (ছোটো দানাদার শস্য যেমন, বাজরা, জনার, কাউন, ভুট্টা) গুরুত্ব উদ্যাপন করা।
বাণিজ্য মেলার কিছু মূল বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে মিলেটস এবং জৈবপণ্য প্রদর্শনকারী ২৫০টিরও বেশি বুথ, মিলেটস প্রক্রিয়াকরণের যন্ত্রপাতি, পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং প্রযুক্তি, মিলেটস ও জৈব খাবারের দোকান, একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন, কৃষকদের জন্য পরিচালিত কর্মশালা, মিলেটেসের রেসিপির প্রদর্শনী ও অন্যান্য।
Scenes from the Access Agriculture show at the Millets & Organics 2023, India
Josephine Rodgers speaking at the Millets & Organics International Trade Fair 2023
EcoAgtube : https://www.ecoagtube.org/content/josephine-rodgers-speaking-millets-organics-international-trade-fair-2023-0
Podcast : https://accessagriculture.podbean.com/e/josephine-rodgers-speaking-at-the-millets-organics-international-trade-fair-2023/