
ক্ষুদ্র কৃষকদের মধ্যে এগ্রোইকোলজি বিষয়ে জ্ঞানচর্চায় অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের উদ্ভাবনী মডেল ইয়ং এন্টাপ্রেনর ফর রুরাল অ্যাকসেস (ইআরএ) বেশ কটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়ার মধ্যদিয়ে স্বীকৃতি পেয়েছে। সম্প্রতি উগান্ডার কাম্পালায় একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের সুবিধার জন্য এতে পূর্ব-আফ্রিকার অ্যাকসেস এগ্রিকালচার উদ্যোক্তা প্রশিক্ষক এজরা মাসোলাকি-কে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
কর্মশালাটি আইএফএডি-এর অর্থায়নে গ্লোবাল ফোরাম ফর রুরাল অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস (জিএফএএস) প্রকল্পের একটি সুনির্দিষ্ট কম্পোনেন্ট বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য অনুষ্ঠিত হয়। কম্পোনেন্টটি আফ্রিকা (উগান্ডা ও মাদাগাস্কার) এবং লাতিন আমেরিকা (কোস্টারিকা ও ইকুয়েডর)-য় পার্টিসিপেটরি রুরাল অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস (আরএএস)-এর মাধ্যমে এগ্রোইকোলজিকাল পরিবর্তনে ক্ষুদ্র কৃষকদের ক্ষমতায়নের বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে (ফোকাস করে)।
প্রকল্পের এই কম্পোনেন্টটি জিএফআরএএস, অ্যাকসেস এগ্রিকালচার এবং ইয়ং প্রফেসনালস ফর এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট (ওয়াইপিএআরডি) নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। এর লক্ষ্য হলো আনুমানিক ১০০০০ (দশ হাজার) কৃষক পরিবারের কাছে পৌঁছানো (প্রতি দেশে ২৫০০ করে) এবং তাদের চাষাবাদ পদ্ধতিকে এগ্রাইকোলজি ও প্রযুক্তি নির্ভর করার দিকে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করা।
এজরা তার উপস্থাপনায় বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন যে, কীভাবে অ্যাকসেস এগিকালচার তাদের স্মার্ট প্রজেক্টর ব্যবহার করে ভিডিও দেখানো থেকে শুরু করে ব্যবসা চালানো পর্যন্ত সব কাজে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য তরুণ উদ্যোক্তাদের শনাক্ত করে, প্রস্তুত করে এবং প্রশিক্ষণ দেয়। তিনি প্রকল্প পরিচালনায় ইআরএ দলের কাছ থেকে প্রত্যাশিত ভূমিকার কথাও বর্ণনা করেন। উগান্ডার একজন ইআরএ রেবেকা আকুল্লু, কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন, তিনি জনগোষ্ঠীর সাথে তার কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
এজরা জোর দিয়ে বলেন যে, “আমাদের স্থানীয় ভাষায় মানসম্পন্ন কৃষক-থেকে-কৃষক ভিডিওগুলো প্রান্তসীমার প্রমাণিত উদ্যোক্তা মডেল-কে সম্পূর্ণ করে। আমরা পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন করতে একটি দায়িত্বশীল এবং টেকসই পদ্ধতিতে ক্ষুদ্র কৃষকদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে পারি।” অ্যাকসেস এগ্রিকালচার আফ্রিকা ও ভারতে ১৭টি দেশে ২৪০ জন ইআরএ-কে লালন পালন করছে।