
অ্যাকসেস এগ্রিকালচার তার ভিডিও ও অডিওগুলোর মাধ্যামে ছয় কোটি আশি লাখেরও বেশি কৃষকের কাছে পৌঁছে গেছে। খুব সম্প্রতি ১১৫টি দেশের অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে একটি অন-লাইন জরিপের কাজ শেষ করা হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের দুই-তৃতীয়াংশ সরাসরি ওয়েবসাইট থেকে ভিডিওগুলো দেখেন, বাকি এক-তৃতীয়াংশ নিবন্ধন করে বা ডাউনলোড করে দেখেন।
যারা সাইটে যেয়ে দেখেন, তাদের অধিকাংশই কৃষকদের সাথে অথবা সম্প্রসারণের কাজে যুক্ত তাদের সহকর্মীদের সাথে ভিডিওগুলো শেয়ার করেন। ব্যবহারকারীগণ অ্যাকসেস এগ্রিকালচারকে এতটাই পছন্দ করেছে যে, জরিপে অংশগ্রহণকরীদের ৯০০জন এ-প্লাটফর্মটি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে শেয়ার করেছেন।
২,২১০ জন জরিপে অংশ নেয়। তাদের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ গত তিন বছরে অ্যাকসেস এগ্রিকালচার সম্পর্কে জেনেছেন। তাদের শতকরা ৭৮ ভাগ আফ্রিকা মহাদেশের এবং বেশিরভাগই পুরুষ। অর্ধেকের বেশি ব্যক্তিই তরুণ এবং তাদের বয়স ৪০ বছরের নিচে।
জরিপে অংশ নেওয়াদের দুই-তৃতীয়াংশ কৃষক পাঁচটির বেশি ভিডিও দেখেছেন। শতকরা প্রায় ৩০ ভাগ ব্যবহারকারীর কাছে ফ্যাক্টশিট বা তথ্যপত্রসমূহ, ইমপ্যাক্ট স্টাডিসমূহ এবং প্রকাশনাগুলো জনপ্রিয়, যা তারা ডাউনলোড করে থাকেন। অনেক উদ্বুদ্ধকারী প্রশিক্ষকের কাছে ভিডিওগুলো খুবই ব্যবহার-উপযোগী। কেনিয়ার ডোমিনিক কিনুথিয়ার একজন কৃষক এবং শিক্ষাদানকারী এ-বিষয়ে বলেন : ‘আমি প্রায়শই এই সেক্টরে অর্থায়নের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সচেতন করতে ব্যাংকারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুযোগ পাই।’
জরিপে অংশ নেওয়া পাপুয়া নিউ গিনির বাসিন্দা লিলি সার তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন : “আপনাদের ভিডিওগুলো আমার কাছে খুবই সহজ লাগে, এবং আমি জানি যে, গ্রামীণ কৃষকগণও ভিডিওগুলোতে দেওয়া তথ্যসমূহ বুঝতে পারেন। বিশেষ করে তারা, যারা দেশি বা আদি কৃষি-জ্ঞান-সম্পন্ন”। ভিডিওগুলোর কোনোটিই পাপুয়া নিউ গিনিতে চিত্রায়িত হয়নি, কিন্তু অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের ভিডিওগুলো সব সময়ই বৈশি^ক ইস্যুগুলো নিয়ে তৈরি হয়, যা আরো অনেক কৃষকের কাজে লাগে।
ইতোমধ্যে অসকার রয়াসা নামের বুরুন্ডির একজন কনসালটেন্ট প্রশিক্ষক ভিডিওগুলো ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেন : “এ্যাগ্রো বিজনেস প্রজেক্টেও যুব উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের কাজে আমি ভিডিওগুলো ব্যবহার করেছি। অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের ওয়েবসাইটটিকে আরও উন্নত করা এবং এর সহ-প্রতিষ্ঠান www.Agtube.org এর পরিচিতি বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু ভালো পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরামর্শগুলো সামনের মাসগুলোতে কাজে লাগানো শুরু হবে।
যারা জরিপে অংশ নিয়েছিলেন তারা ‘ডিজিসফট’ স্মার্ট প্রজেক্টর জিতে নেওয়ার একটি ড্র-তে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন, এ প্রজেক্টরে পুরো একটি ভিডিও লাইব্রেরি রয়েছে, যা তারা অফ-লাইন এবং অফ-গ্রিডে দেখতে পারেন। ড্র জিতেছিলেন নাইজেরিয়ার ডেভিড ওলুবিই ওজো । তিনি এ-স্মার্ট প্রজেক্টরটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কীভাবে ব্যবহার করছেন, তা আমরা অনুসরণ করব।