<<90000000>> দর্শক
<<266>> উদ্যোক্তা 18টি দেশে
<<4647>> টি কৃষিবাস্তুবিদ্যা ভিডিও
<<107>> ভাষা উপলব্ধ

আবর্জনা থেকে সম্পদ

Author
Jeff Bentley
Trash to treasure
Trash to treasure

খাদ্যবর্জ্য প্লাস্টিক ও অন্যান্য অজৈব পদার্থের সাথে না মিশিয়ে সেগুলো দিয়ে প্রয়োজনীয় কম্পোস্ট তৈরি করা যায়, যেকথা আমার স্ত্রী কোচাবাম্বার সেপ্রা রেডিওর এক অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে বলেছিলেন। তাঁকে আলের্তা ভের্দে (গ্রিন এলার্ট) নামের একটি স্থানীয় এনজিও আমন্ত্রণ জানয়েছিল, সাথে আরও তিন জন আলোচক ছিলেন, তাদের মধ্যে দুজন ছিলেন কৃষিবিদ, যারা স্কুল ও পরিবারগুলোকে কম্পোস্ট তৈরিতে উসাহিত করেন এবং একজন ছিলেন ছাত্র, যিনি শহরের যে-সব পরিবারগুলো কম্পোস্ট তৈরি করে তাদের ওপর থিসিস লিখছেন।

প্রথম দু’জন আলোচক শহরবাসীদের উদ্বেগের বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা জানান যে, কীভাবে মাছি, ইঁদুর ও দুর্গন্ধ এড়িয়ে কম্পোস্ট তৈরি করা যাবে। বাগান করার ম্যানুয়াল থেকে পুরনো ধারণা পুনরায় ব্যবহার করা হয়েছিল ; যেমন, বার্নইয়ার্ড সারের একটি স্তর যুক্ত করার বিষয়টি শহরে যারা পশু পালন করেন না, তাদের জন্য অবাস্তব ধারণা।

রেডিও-র আলোচনায় সকল আলোচকই একমত হয়েছেন যে, শহরের শতকরা ৭০ ভাগ আবর্জনা জৈব, যার মধ্যে রয়েছে কাগজ, বাগানের ছাটাই আর খাদ্যবর্জ্য, যেগুলো পচে কাদার মতো এবং দুর্গন্ধযুক্ত পদার্থে পরিণত হয় এবং ভাগাড়ে মাছিদের আকৃষ্ট করে। যদি জৈব আবর্জনাকে কম্পোস্টে পরিণত করা যায়, তাহলে কম উপদ্রব হবে এবং আবর্জনা সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনাও কম করতে হবে।

আলোচনার উপস্থাপক ছিলেন আর্নল্ড ব্রাউয়ার, এনা বলেন, তিনি কীভাবে কম্পোস্ট তৈরি করেন। তিনি বেতার শ্রোতাদের উদ্দেশে ব্যাখ্যা করে বলেন যে, কীভাবে আমরা একটি গর্ত তৈরি করি এবং রান্নাঘরের জৈববর্জ্য দিয়ে তা ভরাট করি। যখন গর্তটি ভরে যায় তখন আমরা এটি হাল্কা মাটি দিয়ে ঢেকে দিই এবং একবছরের জন্য ফেলে রাখি। আবর্তন নিশ্চিতভাবেই পচনের গতি বাড়ায়। কিন্তু কম্পোস্ট নেওয়ার আগে আরও অনেক কাজ আছে। আমাদের বাড়িতে আমরা তাড়াহুড়ো করি না। ভালোভাবে কম্পোস্ট হওয়ার জন্য আমরা একবছর অপেক্ষা করি।

“সুতরাং এটি আরামদায়ক কম্পোস্ট।” আর্নল্ড টিপ্পনি কাটেন। এনা একমত হলেন, কিন্তু তিনি ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃশ্যপট বর্ণনা করেন। গ্রামাঞ্চলের কাছে শহরের ঋণ আছে। আমরা অনেক মূল্যবান জৈবপদার্থ নিয়ে আসি। যেমন, খাদ্যসামগ্রী, এবং আমরা এর অনেকটাই পচিয়ে ফেলি, অপরিশোধিত এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য, কিন্তু অজৈব আবর্জনার সাথে মিশিয়ে ফেলি, প্রধানত প্লাস্টিকের সাথে। যদিও বর্জ্য বাড়িতে কম্পোস্ট করা যেতে পারে, স্থানীয় সরকার এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

পৌর-সরকার সমস্ত জৈব আবর্জনা শহরের বাইরে নিয়ে যেতে পারে এবং সেগুলো দিয়ে শহরের কাছাকাছি ক্ষয় হয়ে যাওয়া বড়ো কোনো জমিতে কম্পোস্ট তৈরি করতে পারে। কিছু মাটি দিয়ে কম্পোস্ট ঢেকে রাখা যেতে পারে এবং জমি প্রস্তুত হলে সেখানে গাছ লাগানো যেতে পারে। জৈব-খামারগুলো এখনও এর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে, এটি জৈবসারের ফলদায়ক ব্যবহার নিশ্চিত করবে।

অর্ধ-শুষ্ক কোচাবাম্বার জন্য এটি একটি সৃষ্টিশীল ও উপযুক্ত সমাধান ছিল। প্রতিটি শহর ও মহানগরে নিজস্ব স্থানীয়ভাবে উপযুক্ত উপায়ে আবর্জনা পুনর্ব্যবহারযোগ্য হবে। তবে, আমাদের অবশ্যই খাদ্যসামগ্রীর অপচয় বন্ধ করতে হবে। কমলার খোসা হোক বা বাসি সালাদ, রান্নাঘর ও বাগানের বর্জ্য একটি মূল্যবান সম্পদ, যা অবশ্যই জৈবসার হিসেবে পুনরায় ব্যবহৃত হওয়া উচিত।  

একইভাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ক্রমবর্ধমান হারে জৈব কম্পেস্ট তৈরি একটি টেকসই ব্যবসা হিসেবে  দাঁড়াচ্ছে। ইউরোপের কয়েকটি পৌর-সরকার সবুজ বর্জ্য (যেমন, আঙিনা বা তৃণভূমি থেকে ছাটাই করা ঘাস বা গাছের পাতা) থেকে কম্পোস্ট তৈরি করছে এবং খাদ্যবর্জ্য জ¦ালিয়ে বিদ্যুপাদন করছে। সামান্য ইচ্ছা এবং কল্পনাশক্তি কাজে লাগিয়ে গ্রীষ্মম-লীয় পৌরসভাগুলোও আবর্জনা পুনরায় ব্যবহার করার জন্য তাদের নিজস্ব স্থানীয়ভাবে উপযুক্ত উপায় খুঁজে বের করতে পারে।

 

 

এই সম্পর্কিত অন্যান্য ভিডিও

Compost from rice straw

Composting to beat striga

Converting chicken waste into fertilizer

Turning fish waste into fertilizer

 

© Copyright Agro-Insight

 

আপনি কিভাবে সাহায্য করতে পারেন.. আপনার উদার সাহায্য আমাদের ক্ষুদ্র কৃষকদের কৃষি পরামর্শের জন্য তাদের ভাষায় আরও ভালভাবে পৌঁছাতে সক্ষম করবে।.

Latest News

অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ‘গ্যানডিংগ্যান অ্যাওয়াডর্’ অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব দি ফিলিপাইস কমিউনটি ব্রডকাস্টার্স-এর অংশীদার হয়েছে

অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ১৮তম গ্যানডিংগ্যান অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ অনুষ্ঠানটি স্পন্সর করে। ৪ মে ২০২৪ এটি অনুষ্ঠিত হয় লস বানোসে। লস বানোসে ইউনিভর্সিটি অব ফিলিপাইনস-এর কলেজ অব ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন-এর ফিলিপাইন কমিউনিটি ব্রডকাস্টার্স অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। এর থিম ছিল এগ্রিকালচার : স্টোরিজ অব চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড হোপ

ভারতের মধ্য প্রদেশে গ্রামীণ তরুণদের মধ্যে ডিজিটাল কৃষিশিল্পোদ্যাগের সংস্কৃতি গড়ে তোলা

গ্রামীণ এলাকায় প্রাকৃতিক কৃষি সহজলোভ্য করার জন্য সদ্য শেষ হওয়া একটি স্মার্ট প্রজেক্টর প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ভারতের মধ্য প্রদেশের পাঁচটি নতুন

উগান্ডায় গ্রামীণ উপদেষ্টা পরিষেবা সঞ্চালকেদের ডিজিটাল দক্ষতা বাড়ানোর কর্মশালা অনুষ্ঠিত

উগান্ডার বুইকওয়ে, বুগিরি, সেমবাবুলে, লিরা ও সোরোতিÑ এই পাঁচটি জেলার প্রায় ৩০ জন রুরাল অ্যাডভাইজারি সার্ভিস (আরএএস)-এর সঞ্চালকদের একটি অরিয়েনটেশন কর্মশালায় অংশ নেন। কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় ১৫ এপ্রিল থেকে ১৭ মে ২০২৪ তারিখে। এতে প্রকল্প সম্পাদনের সময় রুরাল অ্যাডভাইজারি সার্ভিস সঞ্চালকেদের ডিজিটাল দক্ষতা বাড়ানোর জন্য অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের সম্পদ ও সরঞ্জামের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

মাদাগাস্কারে মাস্টার প্রশিক্ষকগণের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

মাদাগাস্কারে ‘গ্লোবাল প্রোগ্রাম ফর স্মল-স্কেল এগ্রোইকোলজি প্রোডিউসার্স অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফুড সিস্টেম ট্রান্সফরমেশন’ (জিপি-এসএইপি) প্রকল্পের

আমাদের স্পনসরদের ধন্যবাদ