<<90000000>> দর্শক
<<320>> উদ্যোক্তা 18টি দেশে
<<5432>> টি কৃষিবাস্তুবিদ্যা ভিডিও
<<110>> ভাষা উপলব্ধ

বিনা মাটিতে ফডার (ঘাস) চাষ করা শেখা

Author
Savitri Mohapatra

হাইড্রোপোনিক চাষাবাদ, এই পদ্ধতিতে গাছপালা মাটির বদলে পানিতে জন্মে, উন্নয়নশীল দেশের ক্ষুদ্রচাষিদের জন্য এটি উচ্চ-প্রযুক্তি ও ব্যয়বহুল বলে মনে হতে পারে। তবে, ভারতের মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার দুধ-উৎপাদনকারীরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অল্প খরচের হাইড্রোপোনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে উন্নতমানের সবুজ ঘাস চাষে সাফল্য অর্জন করেছে।

 

গবাদিপশুদের খাওয়ানোর জন্য সবুজ ঘাস অত্যন্ত জরুরি। তবে, ভারতে জমি ও জলের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছে, ফলে ভারতের বিপুল পরিমাণ গবাদিপশুর চাহিদা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত সবুজ ঘাস উৎপাদন একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ। ইন্ডিয়ান গ্রাসল্যান্ড অ্যান্ড ফডার রিসার্চ ইন্সটিটিউটের মতে, ভারতে বছরে ১১% সবুজ ঘাসের ঘাটতি রয়েছে।     

 

হাইড্রোপোনিক পদ্ধতিতে তাকের ওপর সারিবদ্ধভাবে ট্রে রেখে ঘাস উৎপাদন করতে হয়, তাই এই পদ্ধতিতে প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে কম জমির প্রয়োজন হয়। এই পদ্ধতিতে শ্রম ও পানিও কম লাগে। শুষ্ক, আধা-শুষ্ক এবং শহর এলাকায় যেখানে জল ও জমির সীমাবদ্ধতা রয়েছে, সেখানে এইভাবে চাষ করলে তা কৃষকদের জন্য  টেকসই একটি বিকল্প ব্যবস্থা হতে পারে।   

 

প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে হাইড্রোপোনিক পদ্ধতিতে গাছপালা দ্রুত বড়ো হয়, ফলে ফলনও অনেক বেশি হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, প্রচলিত পদ্ধতিতে যেখানে ৪০ থেকে ৬০ দিন সময় লাগে, সেখানে হাইড্রোপোনিক ঘাসের বড়ো হতে প্রায় একসপ্তাহ সময় লাগে। তদুপরি, এটি শুষ্ক মৌসুমসহ সারাবছর উৎপাদন করা যায় এবং এতে কোনো রাসায়নিকের প্রয়োজন হয় না।  

  

মহারাষ্ট্রের দুধ-উৎপাদনকারী অঞ্চলে অবস্থিত গোবিন্দ মিল্ক অ্যান্ড মিল্ক প্রডাক্টস কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক ড. শান্তারাম গাইকোয়াদ-এর মতে, অল্প খরচের গ্রিন হাউজগুলোতে হাইড্রোপোনিক ঘাসের উৎপাদন ঘাসের অভাব পূরণে কার্যকর একটি সমাধান এবং ভারতে গবাদিপশু পালনের ক্ষেত্রে এটি আশাব্যঞ্জক ও টেকসই একটি প্রযুক্তি।      

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচার রিচার্স (আইসিএআর)-এর বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে গোবিন্দ স্থানীয়ভাবে পাওয়া যায় এমন সব উপকরণ ব্যবহার করে কম খরচের গ্রিনহাউজে হাইড্রোপোনিক ঘাস উৎপাদনের ক্ষেত্রে অগ্রগামী হয়ে রয়েছে। সংস্থাটি সাতারার দুধ উৎপাদনকারীদের টেকসই দুধ উৎপাদন কৌশলে উন্নত প্রযুক্তি প্রবর্তন করেছে।

 

এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গোবিন্দ তাদের কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ভিডিও ‘হাইড্রোপোনিক ঘাস’ ধারাবাহিকভাবে ব্যবহার করছে। স্বাধীন তথ্যচিত্র নির্মাতা অতুল পগার যিনি অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের (www.accessagriculture.org/bgl) জন্য এই ভিডিওটি তৈরি করেছেন, তিনি বলেন, “গোবিন্দ প্রতিবছর প্রায় ৫ হাজার জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে, এর ওপর ভিত্তি করে আমরা বলতে পারি যে, আমাদের ভিডিও এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার জন কৃষক দেখেছেন।”

 

অতুল আরও বলেন, “গোবিন্দ’র প্রশিক্ষকেরা একটি এলইডি ডিসপ্লেসহ একটি ভ্যান গাড়ি নিয়ে গ্রামে গ্রামে প্রতিদিন ঘুরে বেড়ান এবং কৃষকদের ভিডিও দেখান, যেখানে আমাদের ভিডিও-ও দেখানো হয়। প্রশিক্ষকেরা তাদের ভিডিও মিডিয়া চ্যানেলগুলোর মাধ্যমেও এই ভিডিও-টির লিঙ্কটি শেয়ার করেন।” 

 

ড. গাইকোয়াদ-এর মতে, সাতারার  দুধ উৎপাদনকারী ক্ষুদ্র চাষিদের হালকা-প্রযুক্তির হাইড্রোপোনিক ঘাস পদ্ধতি গ্রহণ একটি বড়ো সাফল্য । “কৃষকেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চায়। তবে, তাদের নিজস্ব উপায়ে। প্রযুক্তি হতে হবে সহজ, সাশ্রয়ী এবং স্থানীয়ভাবে সহজলোভ্য উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি করা যায় এমন।”

 

সম্পর্কিত অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ভিডিও

হাইড্রোপোনিক ঘাস

 

আপনি কিভাবে সাহায্য করতে পারেন.. আপনার উদার সাহায্য আমাদের ক্ষুদ্র কৃষকদের কৃষি পরামর্শের জন্য তাদের ভাষায় আরও ভালভাবে পৌঁছাতে সক্ষম করবে।.

Latest News

কর্নাটকে গ্রামীণ তরুণেরা ইকোলজিক্যাল কৃষিচর্চার প্রচারের জন্য স্মার্ট প্রযুক্তি সরঞ্জাম ধারণ করেছেন

সম্প্রতি ভারতের কর্নাটকে গ্রামীণ তরুণদের মাঝে যারা এন্টাপ্রেনরস ফর রুরাল অ্যাকসেস (ইআরএ-এস) নির্বাচিত হয়েছেন তাদের নিয়ে চারদিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ

অ্যাকসেস এগ্রিকালচার তরুণ পরিবর্তনকারী উমর বশির গুরুত্বপূর্ণ স্লো ফুড অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন

“আমরা অবিশ্বাস্যভাবে গর্বিত যে, আমাদের উগান্ডার তরুণ পরিবর্তনকারী (চেঞ্জমেকার) উমর ওচেন বশির এ বছর ইতালির তুরিনে তেরা মাদ্রে সালনে দেল গুস্তোতে

অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ‘গ্যানডিংগ্যান অ্যাওয়াডর্’ অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব দি ফিলিপাইস কমিউনটি ব্রডকাস্টার্স-এর অংশীদার হয়েছে

অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ১৮তম গ্যানডিংগ্যান অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ অনুষ্ঠানটি স্পন্সর করে। ৪ মে ২০২৪ এটি অনুষ্ঠিত হয় লস বানোসে। লস বানোসে ইউনিভর্সিটি অব ফিলিপাইনস-এর কলেজ অব ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন-এর ফিলিপাইন কমিউনিটি ব্রডকাস্টার্স অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। এর থিম ছিল এগ্রিকালচার : স্টোরিজ অব চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড হোপ

ভারতের মধ্য প্রদেশে গ্রামীণ তরুণদের মধ্যে ডিজিটাল কৃষিশিল্পোদ্যাগের সংস্কৃতি গড়ে তোলা

গ্রামীণ এলাকায় প্রাকৃতিক কৃষি সহজলোভ্য করার জন্য সদ্য শেষ হওয়া একটি স্মার্ট প্রজেক্টর প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ভারতের মধ্য প্রদেশের পাঁচটি নতুন

সাম্প্রতিক ভিডিও

আমাদের আর্থিক অংশীদারদের ধন্যবাদ