<<90000000>> দর্শক
<<240>> উদ্যোক্তা 17টি দেশে
<<4135>> টি কৃষিবাস্তুবিদ্যা ভিডিও
<<105>> ভাষা উপলব্ধ

ভিডিওগুলো কেনিয়ার স্কুলে চাষাবাদ করার ক্ষেত্রে সাহায়তা করছে

অ্যাকসেস এগ্রিকালচার (www.accessagriculture.org) এন্টারপ্রেনিউরস অব রুরাল অ্যাকসেস (ইআরএ) নলেজ সেন্টার ফর এগ্রিকালচার  (কেসিওএ)-এর সাথে একটি প্রকল্পে যৌথভাবে স্কুল ও স্কুলের আশেপাশের কৃষক জনগোষ্ঠীর তরুণদের নিয়ে কাজ করছে। এই কর্মসূচির অর্থায়ন করছে বিএমজেড এবং এটি বাস্তবায়ন করছে জিআইজেড।

কম্পোস্ট তৈরি, সবজি বাগান স্থাপন, এবং উদ্ভিদের কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে রাসায়নিক মুক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করে গ্রহণ ও চর্চা করার জন্য ভিডিও প্রদর্শন এই কর্মসূচির প্রধান কাজ।

কেনিয়ার এনডেইয়া কিয়াম্বু কাউন্টির একজন ইআরএ সিলভিয়া ওয়াংগুই এনজোনজো বলেছেন যে, ইআরএ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দুটি স্কুলে তরুণ কৃষকদের ক্লাবগুলোতে অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ট্রেনিং ভিডিও দেখানো হয়েছে। বিদ্যালয় দুটি হলো মাকুতানো মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং এনজোরো প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইতোমধ্যে দুটি স্কুলেরই শিক্ষার্থীরা প্রকল্পের আওতায় ভিডিও দেখার পর এবং হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর স্কুলের খামারগুলোতে সবজি বাগান করেছে এবং জল পারিশোধনের ব্যবস্থা স্থাপন করেছে।

সিলভিয়া ওয়াংগুই আরও বলেন, “ভিডিওগুলো দেখিয়ে তাদের খুব সহজে শেখানো গেছে। কেননা, তারা সবকিছু নিজের চোখে দেখতে পেয়েছে। ওই দুটি স্কুল ছাড়াও তেকুনু ও কাগোইয়ো গ্রামের ১০০ জনেরও বেশি কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি থেকে উপকার পেয়েছেন। যত বেশি সম্ভব কৃষকদের কাছে পৌঁছানো আমাদের লক্ষ্য।”

এই প্রকল্পের আওতায় তরুণ ও কৃষকদের কৃষি-ব্যবসায়ের প্রতি উৎসাহিত করে তুলতে তাদের মূল্য সংযোজন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণার্থীদের মূল্য সংযোজন বিষয়ে নানারকম প্রযুক্তি শেখানো হয় যেমন, কাসাভা ও শাকসবজি, যেগুলো পরে শুকিয়ে ময়দা বানানো যায়। এই কাজের লক্ষ্য হলো পরিবারগুলোকে এই পণ্যগুলো নিজেদের ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করতে এবং কখনও কখনও আয়ের জন্য বিক্রি করতে সহায়তা করা।

এই প্রকল্প ছাড়াও অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ইআরএ-রা স্কুল ও কলেজে পারমাকালচার কর্মসূচি (এসসিওপিই)-এর সাথে কাজ করছেন, যার লক্ষ্য হলো জৈবকৃষিচর্চা গ্রহণের মধ্যদিয়ে তরুণদের ক্ষমতায়ন করা। আফ্রিকার অন্যান্য দেশের মধ্যে কেনিয়া, উগান্ডা এবং জাম্বিয়াতে এই কর্মসূচি চলছে।

প্রকল্পটির অধীনে স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভিডিও দেখিয়ে প্রাকৃতিক চাষ, মাটির উর্বরতা বাড়ানোর জন্য কম্পোস্ট তৈরি, পরিবেশবান্ধব কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনাচর্চা এবং এমনকি বীজ ব্যাংকে কীভাবে বীজ সংরক্ষণ করা যায় সে-সব বিষয়ে শেখানো হয়। আশা করা যায়, শিক্ষার্থীরা তাদের বাড়িতে ও স্কুলের আঙিনায় শাকসবজি ও ফলের বাগান (কিচেন গার্ডেন) করবে। সেখানে তারা নানারকম শাকসবজি উৎপাদন করবে, যা তাদের নিজেদের চাহিদা পূরণ করবে এবং শাকসবজি ও ফল কেনার খরচ বাঁচাবে।

এসসিওপিই-এর ফিল্ড প্রশিক্ষক এবং অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের ইআরএ, মৌরিন নজেরি মাইনা, একটি সৌর-চালিত স্মার্ট প্রজেক্টর ব্যবহার করেন যা তিনি অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের থেকে পেয়েছেন, কিয়াম্বু কাউন্টির থিকা চাইল্ড রেসকিউ সেন্টারের অংশগ্রহণকারীদের জন্য কৃষক-প্রশিক্ষণ ভিডিও স্ক্রীন করতে, যা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছেলেদের জন্য পূরণ করে। এই সেন্টারে  প্রায় ১০০ জন ছেলে থাকে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ শারীরিক বা মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী, রেসকিউ সেন্টারে বাস করলেও শহরের সাধারণ বিদ্যালয়গুলোতেই তারা পড়তে যায়।

তারা প্রশিক্ষণ ভিডিওগুলো দেখে ভাল কৃষি অনুশীলনগুলো খুব তাড়াতাড়ি রপ্ত করেছে এবং নিজেদের সেন্টারে একটি শাকসবজির বাগান (কিচেন গার্ডেন) তৈরি করেছে, যেখানে তারা শাকসবজি এবং ফলের চাষ করছে। অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থীরাও পারমাকালচার পদ্ধতি ব্যবহার করে কীভাবে নিজেদের শাকসবজির বাগান (কিচেন গার্ডেন) করবে তা শিখতে এই সেন্টারে আসে।

মৌরিন ব্যাখ্যা করে বলেন যে, “আমরা ভিডিওগুলো দেখানোর পর শিক্ষার্থীরা দ্রুত শিখতে শুরু করে। প্রকৃতপক্ষে তারা এতে ভালো যে, অন্য দলের শিক্ষার্থীরা যখন সেন্টারে শিখতে আসে তখন তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় আমি কোনো ভুল করলে তারা তা ধরিয়ে দেয়। সেন্টার এখন শাকসবজি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ, এমনকি লম্বা শুষ্ক সময়ে যখন বৃষ্টিপাত হয় না তখনও।”

আশেপাশের ১১টিরও বেশি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা এই সেন্টারের প্রশিক্ষণ থেকে উপকার পেয়েছে। বারিংগো, মাচাকোস ও মুরাঙ্গা থেকে আরও অনেক স্কুলের শিক্ষার্থীরা শেখার উদ্দেশ্যে সেন্টারে আসছে। অন্যরা মৌরিন মাইন-কে তাদের বিদ্যালয়ে কৃষিপ্রশিক্ষণ ভিডিও দেখাতে এবং নির্দিষ্ট কিছু মূল্য সংযোজন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে।

মৌরিন জানিয়েছেন যে, তিনি থিকা চিলড্রেন্স রেসকিউ সেন্টারের মতো অনুরূপ একটি প্রকল্প চালু করার জন্য থিকার মাচিও চিলড্রেন সেন্টারের সাথে কথা বলেছেন, যাতে তারা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে এবং বাজার থেকে শাকসবজি ও ফল কেনা বাবদ খরচ কমাতে পারে।

সম্পর্কিত ভিডিও

বিদ্যালয়ে কৃষিবিদ্যা শেখানো

বস্তার ঢিবিতে সবজি ফলানো

দ্রষ্টব্য: পিটার কামাউ কেনিয়ার একজন সাংবাদিক।

আপনি কিভাবে সাহায্য করতে পারেন.. আপনার উদার সাহায্য আমাদের ক্ষুদ্র কৃষকদের কৃষি পরামর্শের জন্য তাদের ভাষায় আরও ভালভাবে পৌঁছাতে সক্ষম করবে।.

Latest News

তরুণ পরিবর্তনকারীরা ভিডিও ব্যবহার করে এগ্রোইকোলজিতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন

অ্যাকসেস এগ্রিকালচার ২৫-এ এপ্রিল ২০২৪ তাদের নতুন বই “ইয়াং চেঞ্জমেকার”- প্রকাশের ঘোষণা দিতে পেরে দারুণ আনন্দিত। বইটিতে আফ্রিকা ও ভারতের ৪২টি

অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের আরবি ভাষার প্ল্যাটফর্মের সূচনা : একটি উত্তেজনাকর মাইলফলক

অ্যাকসেস এগ্রিকালচার আনন্দের সাথে ঘোষণা করছে যে, তারা আরবিভাষীদের জন্য আরবি ভাষার প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। এতে করে বহু আরবিভাষীর কাছে পৌঁছানো যাবে

অ্যাকসেস এগ্রিকালচার-এর নতুন ওয়েবসাইটে স্বাগত

কৃষিবিদ্যা এবং জৈবচাষাবাদের ওপর কৃষক প্রশিক্ষণ ভিডিওর বিশ্বের বৃহত্তম বহুভাষিক লাইবেরি অন্বেষণ করুন ব্রাসেলস, বেলজিয়াম — অ্যাকসেস এগ্রিকালচার তাদের

মিশরে অগ্রগামী কাজের জন্য অ্যাকসেস এগ্রিকালচার প্রশংসিত

সিজিআইআর, একটি বৈশ্বিক কৃষি-গবেষণা নেটওয়ার্ক, এর নির্বাহী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডক্টর ইসমাহানে ইলাউফি মিশরের প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলে নারী ও তরুণ শ্রেণিসহ কৃষকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য অ্যাকসেস এগ্রিকালচারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

সাম্প্রতিক ভিডিও

আমাদের স্পনসরদের ধন্যবাদ